বাংলাদেশ বিমানে প্রশিক্ষণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন ১২ বিদেশি বৈমানিক

|

ফাইল ছবি

আবদুল্লাহ তুহিন:

অনিয়ম-দুর্নীতি আর লোকসানে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা-বাংলাদেশ বিমান আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বিদেশি পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে সংস্থাটি। নতুন প্রজন্মের বোয়িং ড্রিমলাইনার পরিচালনার জন্য নিজস্ব উড়োজাহাজ ও দক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে ১২ জন বিদেশি পাইলট এখানে প্রশিক্ষণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এর মাধ্যমে আর্থিকভাবেও লাভবান হবার আশা করছে বিমান।

বহরে নিজস্ব ব্রান্ডনিউ এয়ারক্রাফট যুক্ত করেও লোকসান কমাতে পারছেনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনকি নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা সামালে ঘুরে দাঁড়াতে চার বছরে চারবার নেতৃত্বও বদল করা হয়েছে রাস্ত্রীয় এ সংস্থাটির। তারপরও অনিয়ম বন্ধ, যাত্রী সেবায় আস্থা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বিমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া ছবি।

এমন বাস্তবতায় সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদেশি পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ বিমান। প্রথম দফায় দক্ষ ১২ জন মঙ্গোলিয়ান পাইলটকে নতুন জেনারেশনের বোয়িং ড্রিম লাইনার ও ত্রিপল সেভেনের মত উড়োজাহাজ পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন সাজ্জাদুল হক বলেন, একটা সিমুলেটর মেইনটেইন করতে অনেক পয়সা খরচ হয়। যেটা আমাদের মতো দেশে বেশ কঠিন। এছাড়া আমাদের সবকিছুই আছে। আমাদের ট্রেনিং সেন্টারে ভারত-নেপাল-পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ থেকে পাইলটরা এসে ট্রেনিং নিয়ে গেছে।

ড্রিমলাইনারের মতো বোয়িং পরিচালনার প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশি সংস্থাকে কেনো বেছে নিলেন?- এমন প্রশ্ন ছিল মঙ্গোলিয়ান পাইলট ক্যাপ্টেন মুনখ্ অখিরের কাছে। ক্যাপ্টেন মুনখ্ অখির বলেন, আমাদের কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে পচজন্দ করা হয়েছে। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি নিরাপদ। এখান মানদণ্ড ও অবকাঠামোও সন্তোষজনকও।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম উড়োজাহাজ সংস্থা হিসেবে বিমানের জন্য এটিকে বড় ধরনের অর্জন বলছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিউল আজিম বলেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইন্সট্রাকটর পাইলট। তবে ড্রিমলাইনারের অভিজ্ঞতা তাদের নেই। আর, আমাদের সিনিয়র পাইলটদের সুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তারা মনে করছে যে আমাদের কাছে এই প্রশিক্ষণটা নিলে তারা সবচেয়ে ভালো সেফটি ও ট্রেনিং স্ট্যান্ডার্ড পাবে।

জানা গেছে, প্রতি ব্যাচে ৩ জন করে কয়েক দফায় তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে মঙ্গোলিয়ান পাইলটদের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply