গুপ্তধন মেলেনি!

|

পাকিস্তান থেকে গুপ্তধনের গল্প শুনে একজন বাসা ভাড়া নিলো। পরে জানাজানি হওয়ার পর থানা-পুলিশ হলো। ম্যাজিস্ট্রেটের সন্ধানে দফায় দফায় খোঁড়াখুঁড়ি চললো। এক পর্যায়ে এল বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। শেষ পর্যন্ত মিললো না গুপ্তধন। পুরোটাই তবে গালগপ্পো ছিল!

বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুরের সেই আলোচিত বাড়িটিতে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের একটি দল এবং বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে গুপ্তধনের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে ঘোষণা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি জানান, এই অভিযান এখানেই শেষ। বাড়িটির দখল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

রাজধানীর মিরপুর ১০’র ‘সি’ ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাড়িতে গুপ্তধনের আছে এমন খবরে যত তোড়জোর। পাকিস্তান আমলে বাড়িটি ছাড়ার সময় মালিক দিলদাশ খান প্রায় দুই মণ স্বর্ণ পুতে রেখে গেছেন বলে সহকর্মীর কাছে শুনেছেন পাকিস্তানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক সৈয়দ আলম। দু’বছর আগে দেশে এসে বাড়ির একটি রুমও ভাড়া নিয়েছিল সৈয়দ আলম। কিন্তু অন্য ভাড়াটিয়ার কারণে স্বর্ণ উত্তোলন প্রচেষ্টা সফল হয়নি তার। পরে, খবর পেয়ে গুপ্তধনের সন্ধানে খননের অনুমতি চান বাড়ির বর্তমান মালিক মনিরুল। তাকে অনুমতি না দিলে তৈরি হয় জটিলতা। শেষে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাড়িটি খননের সিদ্ধান্ত হয়।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply