ক্রেমলিনে হামলার পর এবার অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট চালু রাশিয়ায়

|

ক্রেমলিনে কথিত ড্রোন হামলার পরই নিরাপত্তা বাড়াতে অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট চালু করেছে রাশিয়া। রুশ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে যাত্রা শুরু করলো পুলিশের নতুন এই ইউনিট, যার প্রধান কাজ হবে মানুষবিহীন আকাশযান শনাক্ত করা। গত ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ের বার্ষিকী উদযাপনের দিন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় বিশেষ এই ইউনিটের। খবর রয়টার্সের।

স্নাইপার রাইফেল ও কারবাইন দিয়ে সুসজ্জিত প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রাশিয়ার নতুন এই অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট। জনসমাগমে নাশকতা এড়াতে এই ইউনিটের কাছে আছে অত্যাধুনিক জ্যামিং টেকনোলজি, সেই সাথে আছে অ্যান্টি ড্রোন বন্দুকও।

এই ইউনিটের সদস্যরা কাজ করবে মূলত তিনভাবে। চারপাশ পর্যবেক্ষণ করবে শুটার ইউনিট, মনুষবিহীন যুদ্ধবিমান শনাক্ত করবে টেকনোলজি টিম ও সন্দেহভাজনদের ধরতে রাখা হয়েছে মোবাইল টহল। সেভাবেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে সদস্যদের। তাদের উদ্দেশ্য, রুশ ভূখণ্ডের ভেতর হামলায় কিয়েভকে প্রতিহত করা।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

এ নিয়ে এই বিভাগের প্রধান রোমান উভারড বলেন, এই ইউনিট গঠনের উদ্দেশ্য হলো, বড় জনসমাগমের সময় পরিস্থিতি নজরে রাখা। কারণ এ ধরনের সমাগমে হামলা চালানো সহজ হয়। ইউনিটটি বেশ সুশৃঙ্খলভাবে বিজয় দিবসের আয়োজনে দায়িত্ব পালন করেছে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে।

এছাড়া দেশটির জ্বালানি ও সামরিক স্থাপনাগুলোও নিরাপত্তা জোরদারেও কাজ করবে তারা। গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কয়েকদফা ড্রোন হামলার শিকার হয় রাশিয়ার জ্বালানি উত্তোলন অঞ্চলগুলো। তাই এই ইউনিটের কাজ হবে এসব স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা।

তবে ক্রেমলিনে হামলার পর দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার জেরেই এবার নতুন এই উদ্যোগ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির দাবি, হামলার অজুহাত তৈরির জন্যই বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়েছিল রাশিয়া।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply