মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেইক, বধ্যভূমি ৭১, হামহাম ও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটনস্পটে বছর জুড়ে পর্যটকদের ভীড় থাকে। তবে ঈদ উৎসবে পর্যটকদের সমাগম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে মুখরিত হয় পর্যটন এলাকা। হাসি ফুঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে। এবারও ঈদুল আজহার ছুটিতে জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্পটে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের প্রথম দিন বুধবার থেকে তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে প্রায় ৫ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। আর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিদিন আশপাশের উপজেলার মানুষ ছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলা এবং বিদেশী পর্যটকরা ভীড় করছেন এসব দর্শনীয় স্থানে। এতে বেঁচাকেনা ভালো হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ নানা বয়সী মানুষ বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহনে করে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেইক, বিভিন্ন চা বাগান, বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত দেখতে আসছেন। এতে বিভিন্ন সড়কে অনেক সময় যানজট লাগছে।
স্থানীয় দোকানগুলোতে জমজমাট বিকিকিনি হচ্ছে। জলপ্রপাতের পানিতে নানা বয়সী মানুষ সাঁতার কাটছেন। হইচই করছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে। প্রকৃতির সাথে প্রিয়জনদের ছবি ক্যামেরাবন্ধি করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়িদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন হোটেল মোটেলের ব্যবসাও ভালো চলছে। শ্রীমঙ্গলের গ্রিনলিফ রিসোর্টের স্বত্ত্বাধিকারী এসকে দাশ সুমন বলেন, আমাদের মতো প্রায় হোটেল মোটেল এখন ব্যস্ত। ঈদের আগেই প্রায় সবকটি বুকিং হয়েছিল। রুম না থাকায় অনেক অতিথি ফিরিতে দিতে হচ্ছে।
মাধবকুণ্ড পর্যটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশ সবসময় কাজ করছে। আগত পর্যটকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে পাহাড় চূড়ায় না উঠতে পারে, সেজন্য পুলিশ সর্তক আছে।
জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, পর্যটন জেলা হিসেবে মৌলভীবাজারে শুধু ঈদ পূজা নয় বছরের প্রায় সময়ই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। ঈদে যেহেতু পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি হয় সেজন্য আমরাও তাদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর থাকি। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
Leave a reply