বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে আফগানিস্তান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৮২ রানের জবাবে চা বিরতির আগ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৪০। এবাদত হোসেনের ৪ এবং শরিফুল ইসলাম জোড়া উইকেটের পাশাপাশি মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের শিকার একটি করে উইকেট।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরতেই বাড়তি বাউন্স দিয়ে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। লাফিয়ে ক্যাচটি তালু বন্দি করেন মিরাজ। পরের বলেই নতুন ব্যাটার আফসার জাজাইয়ের আরও একটা ক্যাচ যায় মিরাজের হাতে। এটাও হতে পারতো দুর্দান্ত এক ক্যাচ, যদি মিরাজ মিস না করতেন।
পাঁচ স্লিপ, এক গালি রেখে অ্যাটাকিং ফিল্ড সেট করেন অধিনায়ক লিটন দাস। যা টেস্ট ক্রিকেটের অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যের একটি। এবাদত-তাসকিন-শরিফুল ত্রয়ীর আগ্রাসী আক্রমণে যেন অসহায় হয়ে পড়ে জাজাই-জামাল।
নাসির জামাল ও আফসার জাজাইয়ের জমে যাওয়া জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৩ বলে ৬৫ রানের এই জুটি ভাঙে ৩৫ রান করা নাসির জামালের বিদায়ে। পরের ওভারেই এবাদতের বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ তুলে ৩৬ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন আফসার জাজাই। এবাদতের শর্ট বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে শরিফুল ইসলামের হাতে তালু বন্দি জাজাই। টানা দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে যেন মহাবিপদে আফগানিস্তান।
এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি কেউই। এবাদতের বলে আমির হামজার ক্যাচ নেন মুমিনুল হক এবং তাইজুলের বলে ইয়ামিন আহমাদজাইয়ের ক্যাচ নেন লিটন কুমার দাস। আমির করছেন ৬ রান এবং ইয়ামিন আউন হন রানের খাতা না খুলেই। ফলোঅন থেকে বাঁচতে আফগানিস্তানকে কমপক্ষে ১৮৩ রান করতে হবে। চা বিরতিতে পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ ১৪৪ রান। ফলোঅন এড়াতে সফরকারীদের প্রয়োজন আরও ৪৩ রান। দলের সবশেষ আশা হয়ে আছেন অলরাউন্ডার করিম জানাত।
/আরআইএম
Leave a reply