নজীরবিহীন ধর্মঘটের মুখে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্বখ্যাত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হলিউড। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যান ইন্ডাস্ট্রির ১ লাখ ৬০ হাজার অভিনয় শিল্পী। শনিবারও প্ল্যাকার্ড হাতে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স, ইউনিভার্সাল, প্যারামাউন্ট ও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অফিসসহ অন্য মিডিয়া কোম্পানির বাইরে জমায়েত হয়েছেন লাখ লাখ কলাকুশলী। অভিনয় শিল্পী, চিত্রনাট্যকার ও কলাকুশলীদের এই আন্দোলনে বন্ধ হয়ে গেছে বড় বড় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের কাজ। এতে গোটা হলিউড বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসির।
মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বন্ধ ও পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবিতে এই ধর্মঘটে নেমেছেন হলিউডের অভিনয় শিল্পী ও কর্মীরা। পারিশ্রমিক বৃদ্ধি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিরুদ্ধে তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা চিত্রনাট্যকারদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন তারা। বলা হচ্ছে, বিগত ছয় দশকে এমন ধর্মঘট দেখেনি হলিউড।
এ নিয়ে অভিনেত্রী সুজান স্যারান্ডন বলেন, নতুন ধরনের ব্যবসার জন্য পুরোনো এক চুক্তিতে আছি। যা বেশিরভাগ মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্যা স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের সদস্য হিসেবে আজ আন্দোলনে এসেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বেতন সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধানে আসা জরুরি।
হলিউডের আরেক অভিনয়শিল্পী ক্যাসান্দ্রা পালাসিও বলেন, এআই এর বিরুদ্ধে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। এটা আমাদের জন্য অসম্মান। কত টাকা দেয়া হয় আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার জন্য? সবার ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য।
অভিনয় শিল্পী, চিত্রনাট্যকারসহ ১ লাখ ৬০ হাজার কলাকুশলীর কর্মবিরতিতে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অ্যাভাটার-৩, ডেডপুল, স্ট্রেঞ্জার থিংসের মতো জনপ্রিয় সব সিনেমা ও টেলিভিশন প্রোডাকশন। এমনকি রেড কার্পেট, সাক্ষাৎকার এবং সিনেমার প্রচারণার কাজও স্থগিত করেছেন শিল্পীরা।
/এসজেড
Leave a reply