ক্রাইমিয়া সেতুতে হামলার দায় স্বীকার করলো ইউক্রেন

|

গত বছর ক্রাইমিয়া সেতুতে চালানো হামলার পেছনে ইউক্রেনীয় বাহিনী ছিল বলে নিশ্চিত করেছে কিয়েভ। বুধবার (২৬ জুলাই) এ তথ্য জানায় দেশটির গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিভাগ। জাতিসংঘেও একে অপরকে দোষারোপ করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। খাদ্য সংকট সৃষ্টির জন্য ঢালাওভাবে মস্কোকে দায়ী করছে কিয়েভ। অন্যদিকে, ধর্মীয় মতাদর্শের ওপর আঘাতের অভিযোগ এনেছে ক্রেমলিন। খবর সিএনএন এর।

মূলত, গত বছরের ৮ অক্টোবর ক্রাইমিয়ার সাথে রাশিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র সেতু ‘কের্চে’ চালানো হয় ভয়াবহ হামলা। পুতিনের অহংবোধের প্রতীক হিসেবে ভাবা হয় এই ব্রিজকে। সে সময়ই কিয়েভের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল ক্রেমলিন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্বীকার করেনি কিয়েভ। দীর্ঘ ৮ মাস পর বিষয়টি এবার খোলাসা করলো জেলেনস্কি প্রশাসন।

এ বিষয়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ভাসিল মালিউক বলেন, রাশিয়ার দখলদারিত্ব ঠেকাতে বিশেষ অভিযান চলছে। সফল হলে, ভবিষ্যতে সেগুলো জনসম্মুখে খোলাসা করা হবে। আপাতত উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ৮ অক্টোবর ক্রাইমিয়া ব্রিজে জোরালো হামলার কথা। সেটির কলাম উড়িয়ে দেয়ার পেছনেও ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।

এদিকে, বুধবারই শস্যচুক্তি ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বসে বিশেষ অধিবেশন। সেখানে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের কথা চিন্তা করে পুতিন প্রশাসনকে চুক্তিতে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে বন্দরগুলোতে হামলা বন্ধের তাগিদ জানানো হয়।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি সের্গেই কিসলিৎসিয়া বলেন, ইউক্রেনের শস্য এবং খাদ্যপণ্য বর্তমানে রুশ হামলার টার্গেট। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে দেশটির বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই। সে কারণেই, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় হিমাগারগুলোয় চালাচ্ছে আগ্রাসন। ২৪ জুলাইও বন্দর নগরী রেনির ৩টি গুদামে হামলা চালায় রাশিয়া। তাতে ধ্বংস হয়েছে কোটি কোটি ডলারের খাদ্যশস্য।

অধিবেশনে অবশ্য সেই ইস্যুর ধারেকাছেও যায়নি রাশিয়া। উল্টো ধর্মীয় মতাদর্শের ওপর আঘাত হানার অভিযোগ তুলেছে দেশটি। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি দিমিত্রি পোলিয়ানিস্কি বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই আইনের শাসন উঠে গেছে ইউক্রেনে। সবার সামনেই জঘন্য-নির্লজ্জ অনাচার এবং ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। নতুবা জনপ্রিয় অর্থোডক্স গির্জায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতো না। পশ্চিমাদের কাছে প্রশ্ন, কোন কোন দেশ, পার্লামেন্ট বা সরকার কী ধর্মীয় মতাদর্শের ওপর আঘাত হানতে পারে?

বৃহস্পতিবার ভোরেও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে জোরালো হামলা চালায় রুশবহর। দোনেৎস্কে ছোঁড়া ড্রোন ও মিসাইলের আঘাতে ২ বেসামরিকের প্রাণ গেছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply