যুদ্ধ কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে ইউক্রেন

|

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ কৌশলে হঠাৎই বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে ইউক্রেন। প্রতিকার কিংবা প্রতিরোধের চেয়ে জোর দেয়া হচ্ছে পাল্টা হামলার ওপর। গেল কয়েকদিন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন অঞ্চলগুলোয় হামলার পরিধি বাড়িয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। হামলার মুখে পাল্টা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত মস্কোর। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর হতে চলেছে দেড় বছর। অথচ ইউক্রেনীয় বাহিনীর এতটা ব্যাপক হামলার মুখে আগে পড়েনি রাশিয়া। একদিকে মস্কো, অন্যদিকে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোয় চলছে একের পর এক হামলা। কখনো ড্রোন আবার কখনো দূরপাল্লার কামান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণে ক্ষতি হচ্ছে, বেসামরিক স্থাপনা আর রুশ বাহিনীর অবস্থান।

গেল একমাসে ৪ দফায় অর্ধশত ড্রোন হামলার চেষ্টা হয় রাশিয়ার বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে। ফলে এটা স্পষ্ট যে প্রতিরোধের চেয়ে পাল্টা হামলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কিয়েভ। এ অবস্থায় বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে মস্কো। রুশ আকাশ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদারের ঘোষণা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছি আমরা। আকাশ এবং সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ গেল কয়েকদিনে ইউক্রেনের হামলার পরিধি বেড়েছে। আমাদের সামরিক অবস্থান হয়ে উঠেছে তাদের মূল লক্ষ্য।

এ অবস্থায় ক্রেমলিন এসব হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা আখ্যা দিয়েছে। চাপের মুখে রয়েছে কিয়েভ তাই মস্কোয় এ ধরনের ড্রোন হামলা করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, কিয়েভ যেসব হামলাকে সফল হিসেবে দাবি করেছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা মাত্র। মূল ঘটনা হলো ইউক্রেন এ মুহূর্তে খুবই চাপের মুখে রয়েছে। ন্যাটো থেকে তারা কোটি কোটি ডলার মূল্যের সামরিক অস্ত্র নিয়েছে। কিন্তু কার্যকর কিছুই করতে পারেনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তাই এসব হামলার দাবি করছে কিয়েভ।

এদিকে, রুশ ভূখণ্ডে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনে অভিযানের মাত্রা আরও বাড়াতে পারে মস্কো, এমন শঙ্কাও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply