মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সেখানে, এস আলম গ্রুপের দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেকগুলো হাতিয়ারের একটি হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে চলমান মার্কিন নীতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এক সাংবাদিক। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়।
সেই সাংবাদিক তার প্রশ্নে আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমনবিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ সম্প্রতি বাংলাদেশে করা সফরে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার এ সফরের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ বিদেশে পাচার করা নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিপুল অংকের অর্থ পাচার করে বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়। ব্যাপক দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের বিষয়ে স্টেটওয়াচ ডট নেট এবং ওসিসিআরপি একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের সময় রিচার্ড নেফিউ ইঙ্গিত দেন, নিষেধাজ্ঞাকে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করতে পারে। আমার প্রশ্ন হলো, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, বিশেষ করে যারা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে?
জবাবে মিলার জানান, বিশ্বজুড়ে দুর্নীতি দমনে কেবল নিষেধাজ্ঞাই নয়, পাচারকৃত সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে তথ্য সরবরাহের মতো ব্যবস্থাও নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে। তবে এর বাইরেও অনেক হাতিয়ার রয়েছে। পাচারকৃত সম্পদ জব্দ বা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তথ্য সরবরাহ করা, যাতে পাচারের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন তারা। বাংলাদেশকে তার সীমানার মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্মূল করতে উৎসাহিত করছি আমরা।
/এম ই
Leave a reply