কৃষ্ণ সাগর বন্দরকে মানবিক করিডোর ঘোষণা ইউক্রেনের

|

কৃষ্ণ সাগর বন্দরকে মানবিক করিডোর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। আটকে পড়া শস্যবাহী জাহাজকে নোঙর তোলার অনুমতিও দিয়েছে দেশটি। তবে গত বছর হওয়া শস্য রফতানি চুক্তির আওতায় পড়বে না এসব জাহাজ। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সময় আটকে পড়া জাহাজগুলোই পাবে চলাচলের অনুমতি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই দেশটির কর্নোমোরোস্ক, ওদেসা, পিভদেনি বন্দরে আটকা পড়ে আছে শস্যবাহী বেসামরিক জাহাজগুলো। বারবার উদ্যোগ নেয়ার পরও সরবরাহ করা যায়নি শস্যবাহী এসব জাহাজ।

এবার এসব জাহাজ চলাচলের জন্য তাই নতুন এ উদ্যোগ নিলো কিয়েভ। এর আওতায় কৃষ্ণ সাগর বন্দরকে মানবিক করিডোর হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটি। এরইমধ্যে এসব জাহাজকে নোঙর তোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত মাসে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া শস্য রফতানির চুক্তি বাতিল করায় জাহাজ চলাচলে অচলাবস্থা শুরু হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিলো কিয়েভ।

এ ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেন, শস্যকে সব সময় রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। এটি একটি মানবিক বিষয়। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে শস্যকে মানবিকভাবেই দেখা উচিত। এরইমধ্যে শস্য নিয়ে আমাদের মিত্র পোল্যান্ডের সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

গত বছর হওয়া শস্য রফতানি চুক্তির আওতায় পড়বে না এসব জাহাজ। তবে ইউক্রেনের এই উদ্যোগ নতুন এক অগ্নিপরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ গত মাসে রাশিয়া শস্য চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলে বাধা দিয়ে আসছে। দুই পক্ষেই দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও হয়েছে।

মূলত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর হঠাৎ করেই বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় খাদ্য সংকট। শীর্ষ খাদ্যশস্য উৎপাদন এবং রফতানিকারক দুই দেশের সংঘাতের প্রভাব দেখতে শুরু করে বিশ্ববাসী। রফতানি বন্ধ হওয়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যসামগ্রীর দাম।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply