বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্লাবন পরিস্থিতি: বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নেমেছে; ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

|

কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলা ও চট্টগ্রামে প্লাবন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে।

কক্সবাজারের বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও চকরিয়া ও পেকুয়ার নিম্নাঞ্চল এখনও পানিতে নিমজ্জিত। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।

এদিকে, পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে স্পষ্ট হচ্ছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৯ উপজেলার ৬০টি ইউনিয়নে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৭টি ব্রিজ-কালভার্ট, ৮১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ও ১৫ হাজার ৬৩৮ হেক্টর জমির ফসল। ভেসে গেছে প্রায় ২ হাজার পুকুরের মাছ। পেকুয়ার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

এছাড়া, বান্দরবানেও পানি নামতে শুরু করেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। ঘরবাড়ি ও হোটেলগুলো মেরামতের কাজ চলছে।

তবে, কাঁচা বাড়িগুলোর বেশিরভাগই আর ব্যবহারের উপযোগী নেই। এছাড়াও পাহাড় ধসে এখনও বন্ধ রয়েছে বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানচির যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে। সপ্তম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। দুর্গত এলাকায় খাবার বিতরণ ও রাস্তা মেরামতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতেও বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। এদিকে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক এলাকা এখনও পানিতে তলিয়ে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply