জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ৩২ দেশের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছে ৬ তরুণ-তরুণী

|

একটি-দু’টি নয়, একসাথে ৩২টি দেশের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছে ছয় তরুণ-তরুণী। অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নীরব ভূমিকা পালন করছে ইউরোপের এই দেশগুলো। পরিবেশ রক্ষায় এমন মামলার ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। ২০২০ সালে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস-ইসিএইচআরে করা তাদের এই মামলার শুনানি হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।

একজনের বয়স ১৮ আর আরেকজনের ১৫। এই স্বল্প জীবনেই দেখে ফেলছেন প্রকৃতির অনেক ভয়াবহতা। দাবানলে দেশে দেশে পুড়ছে হেক্টরের পর হেক্টর বনভূমি, গলছে বরফ, তীব্র গরমে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের পেছনে ইউরোপের ৩২ দেশকে দায়ী করে মামলা ঠুকে দিয়েছেন পর্তুগালের এই দুই ভাই-বোনসহ ছয় তরুণ-তরুণী।

মামলাকারীদের দাবি, প্রকৃতির বিরূপ আচরণের পেছনে ভূমিকা রয়েছে দেশগুলোর সরকারের নিষ্ক্রিয়তার। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, কার্যকর ভূমিকা রাখতে সরকারকে বাধ্য করাই লক্ষ্য তাদের। ২০২০ সালে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস-ইসিএইচআরে সরকারের নীরব ভূমিকার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ব্যতিক্রমী এই মামলা করেন তারা।

২০১৭ সালে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে যায় পর্তুগালের বিশাল এলাকা। প্রকৃতির সেই ভয়াবহতা নিজ চোখে দেখেছিলেন ওই ছয় তরুণ-তরুণী। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংগঠন গ্লোবাল লিগ্যাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় করা মামলার অভিযুক্তের তালিকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ ছাড়াও আছে- ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, রাশিয়া ও তুরস্ক।

মামলাকারীর মধ্যে একজন আন্দ্রে অলিভেরা, তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় তারা লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে প্যারিস চুক্তি করেছিলো সেটা পূরণ করুক এটাই চাই আমরা। এই মামলাই শেষ নয়, আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। আমার চাওয়া, আমাদের দেখে লোকেরা এটা বুঝতে পারবে, পরিবেশের সাথে যা ঘটছে তা বন্ধে তাদেরও করার আছে অনেক কিছু।

আরেক মামলাকারী সোফিয়া অলিভেরা বলেন, আমি লক্ষ্য করে দেখলাম, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় একটি প্রভাব আমার জীবনেও রয়েছে। আমার বয়স ১৮, এই বয়সেই আমি অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছি। আগে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে যেখানে ঘুরতে যেতাম দাবানলের কারণে তা ধ্বংস হয়ে গেছে। চারপাশের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে।

মামলার রায়ে দেশগুলোকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমাতে আরও দ্রুত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আদেশ দেয়া হতে পারে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply