যুক্তরাজ্যে দেড় হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে নাগরিকরা

|

কারিগরি ত্রুটির কারণে দেড় হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য। ছবি: রয়টার্স

একদিনে দেড় হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা। গন্তব্যে যেতে না পেরে বিমানবন্দরেই আটকা পড়েছে বহু মানুষ। বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীরাও। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম ত্রুটির কারণেই তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (২৮ আগস্ট) একের পর এক ফ্লাইট বাতিলে বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। গন্তব্যে যেতে না পেরে এখনও বিমানবন্দরেই শুয়ে-বসে সময় কাটছে বহু যাত্রীর। বিমানবন্দরগুলোতে রীতিমতো জট লেগে গেছে।

শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, বিভিন্ন দেশের যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। বিদেশে আটকা পড়া ব্রিটিশরা যে যেভাবে পারছেন বিকল্প পথে বাড়ি ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে অনেকে আয়ারল্যান্ডের ফ্লাইটে ধরছেন। আর তাতে বাড়ছে ভোগান্তির পাশাপাশি খরচ।

আটকা পড়া এক যাত্রী বলেন, সোমবার আমাদের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার বিকল্প অনেক পথই খুঁজেছি। অন্যান্য বিমানবন্দরে ফ্লাইট খুঁজেছি। ট্রেনে যাওয়ারও চেষ্টা করেছি। সবজায়গায় টিকিট বুক হয়ে গেছে। এখন এডিনবরার টিকিটি পেয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে আমার বাড়ি যেতে চার ঘণ্টা লাগে।

আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমাদের ফ্লাইট ছিল জেনেভা বিমানবন্দর থেকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল হয়। খোঁজ নিয়ে দেখি, আগামী দুইদিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফ্লাইট নেই। পরে ট্রেনে লিওন আসি। এখান থেকে এডিনবরা যেতে হবে, সেখান থেকে বার্মিংহামে।

দেশটির এভিয়েশন বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্যে, গত সোমবার বাতিল হয়েছে দেড় হাজারের বেশি ফ্লাইট। নজিরবিহীন এই ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণ যুক্তরাজ্যের এয়ার ট্রাফিকে প্রযুক্তিগত বিভ্রাট। এভিয়েশন কতৃপক্ষ বলছে, সাইবার হামলার কারণে তৈরি হয় এমন পরিস্থিতি। কারিগরি ত্রুটির সমাধান হয়েছে। এরইমধ্যে কয়েকটি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি পুরোপুরি দূর হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply