ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ক্রমশই স্বাভাবিক হচ্ছে: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

|

ছবি: সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরী মোহাম্মদ বিন সালমান

সৌদি আরবের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক ক্রমশই স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বলেন, মনে হচ্ছে প্রথমবারের মতো আমরা সত্যিকার অর্থে তা করতে যাচ্ছি। দেখা যাক এটি কতদূর এগোয়।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফক্স নিউজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমরা একটু একটু করে একটি সমঝোতায় আসার প্রক্রিয়ায় আগ্রসর হচ্ছি।

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, বাইডেন প্রশাসন বেশ কয়েকমাস ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। যদি দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের সমঝোতা তৈরি হয়, তবে এটি বাইডেন প্রশাসনের একটি বড় ধরনের কূটনৈতিক বিজয় বলেই বিবেচ্য হবে। এর ফলে মুসলিম বিশ্বে ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের ব্যাপারে সৌদির দাবি কী, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিন্স সালমান বলেন, চুক্তিটি এমন জায়গায় পৌঁছাবে যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজতর করবে।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য ফিলিস্তিন ইস্যু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি আমাদের সমাধান করতে হবে। তিনি জানান, তারা ইসরায়েলকে “মধ্যপ্রাচ্যের খেলোয়াড়” হিসেবে দেখতে চান।

সালমান জানান, যদি তারা তেল আবিবের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে পারেন, তবে সেদেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা কাজ করে যাবেন।

যুবরাজ সালমান বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায়, তবে আমাদেরও তা পেতে হবে।

বেশিরভাগ আরব ও মুসলিম প্রধান দেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। তবে ২০২২ সালে ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রকে নিয়ে সৌদি আরব একটি ‘আরব শান্তি প্রস্তাব’ উত্থাপন করে। এই প্রস্তাবে ইসরায়েলকে নিরাপত্তা দেয়া হবে এমন শর্তে দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়। বিপরীতে সেসময় ইসরায়েল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

জানা গেছে, বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিইয়াহু সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে তারা সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকরণ নিয়ে কিছুটা আলোচনাও করেছেন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply