নাইজেরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর সিমি পোদজির একটি জ্বালানি ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ সীমান্তবর্তী বেনিন অঞ্চলের এই ডিপোতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সিমি পোদজি শহরের ওই ডিপোতে অবৈধভাবে পাচারের লক্ষ্যে জ্বালানি মজুদ ছিলো। সেখান থেকে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল বেশ কিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল ও ট্রাইসাইকেল। হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লাগে ডিপোতে। চোখের পলকেই ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহভাবে। দগ্ধ হয়ে হতাহত হন ডিপোতে কর্মরত এবং গাড়িতে থাকা মানুষজন। খুব সম্ভবত ব্যাগ থেকে পেট্রোল ঢালার সময়ে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি নাইজেরিয়া। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও, আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি সরকার। তবে দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি পাচার হয় আশপাশের দেশগুলোতে। আর চোরাচালানের অন্যতম রুট এই বেনিন সীমান্ত।
বেনিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসেন সেদৌ বলেছেন, আগুনের কারণ পাচার করা জ্বালানি। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মৃতদেহ বাজেভাবে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাইক চালক সেমেভো নোনাগনন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমি ঘটনাস্থল থেকে খুব বেশি দূরে থাকি না। আগুনের কারণ না বলতে পারলেও তিনি বলেন, এখানে একটি বড় পেট্রোল গুদাম রয়েছে এবং সেখানে গাড়ি, ট্রাইসাইকেল এবং মোটরসাইকেল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বালানি নিতে আসে।
নাইজেরিয়া-বেনিন সীমান্তে তেল চোরাকারবার খুবই সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ নাইজেরিয়া। সীমান্তবর্তী এই শহরগুলোতে বেশ কিছু অবৈধ তেল পরিশোধনাগার, তেলের ডিপো ও পাইপলাইন সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো প্রায়ই আগুনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্থানীয়রা ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন, আমরা লোকদের সাহায্যের জন্য চিৎকার শুনেছি। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে কেউ কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও যেতে পারেনি।
তবে বেনিনের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য তারা আগুনের কারণ নির্ণয়ের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
এমএইচ/এটিএম
Leave a reply