দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করছে ইউক্রেন। তবে দেশটির এই লড়াই কেবল যুদ্ধের ময়দানেই সীমাবদ্ধ নেই। ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা আর কামানের গোলার পাশাপাশি ইউক্রেনকে সাইবার স্পেসেও মস্কোর অদৃশ্য হামলা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
সাইবার হামলা প্রসঙ্গে কিয়েভের অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ এবং সেসব মুছে দিতেই ভিন্নধর্মী এ যুদ্ধ। এসব নাশকতায় রুশ গোয়েন্দা সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণও আছে। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে নিশ্চুপ পুতিন প্রশাসন।
কিয়েভ আরও বলছে, গতবছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে তাদের সাইবার স্পেসে আক্রমণের হার বেড়েছে কয়েক গুণ। বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোই হচ্ছে শত্রুদের সাইবার হামলার মূল টার্গেট। তবে রেহাই পাচ্ছে না সরকারি-বেসরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও।
ইউক্রেনের সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দাবি, দেশটির ডাটাবেজে যুদ্ধাপরাধের যেসব প্রমাণ রয়েছে সেগুলো সংগ্রহ ও নিশ্চিহ্নের লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগের প্রধান ইউরি স্কেইহোল বলেন, আদালত, প্রসিকিউটর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি ও বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তারা তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে। তথ্য প্রমাণ বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছে হ্যাকাররা।
সাইবার হামলায় রাশিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করেছি আমরা। তারা রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (জিআরইউ) ও ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)’র সদস্য। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে সকল সাইবার হামলার জন্য দায়ী এই গোয়েন্দা সদস্যরা।
উল্লেখ্য, চলমান যুদ্ধে অনেক রুশ সেনাই আটক হয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর হাতে। আটক হওয়া এই রুশ নাগরিকদের দেশে ফেরাতে তাদের তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। সাইবার হামলায় রাশিয়ার এফএসবি ও জিআরইউর সদস্যদের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে কিয়েভ। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্য সাইবার হামলার বিস্তারিত প্রকাশ করেনি ইউক্রেন। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি রাশিয়া।
/এআই /এএম
Leave a reply