হাতিরঝিলে চলছে বৈদ্যুতিক তার বসানোর কাজ। এর ফলে খানাখন্দে ভরে গেছে রাস্তাগুলো। এতে রাস্তায় চলাচলকারীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। বৃষ্টিতে সেই ভোগান্তি বাড়ে আরও কয়েকগুণ। রাজউকের দাবি, তিন মাসের মধ্যেই সংস্কার করা হবে রাস্তাগুলো। এরপর হাতিরঝিল আগের চেহারা ফিরে পাবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে রামপুরা থেকে মহানগর প্রজেক্ট পর্যন্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার টানার কাজ শেষ হয়েছে। তবে ওই এলাকার রাস্তার সংস্কার এখনও হয়নি। এখন খোঁড়াখুড়ি চলছে বনশ্রী পর্যন্ত। এর ফলে রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা।
বেহাল সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনও। চালকরা বলছেন, গর্তগুলো এত বড় যে গাড়ি একবার সেখানে পড়লে উঠানো কষ্টকর হয়ে যায়। খানাখন্দকে ভরা এসব রাস্তায় গাড়ির যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ির চাকা লিক হয়ে যায় বলেও অভিযোগ তাদের। পথচারীদের ভোগান্তিও সীমাহীন। তাদের অভিযোগ, প্রায় ছয়মাস ধরে এই ভাঙা আর কাদা-পানিতে ভরা রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, রাজউককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইন টানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসনুর রহমান। তিনি জানান, হাতিরঝিলে ডিপিডিসিসহ দুটি সংস্থা কাজ করেছে। ডিপিডিসি কাজ শেষে গর্তগুলো ভরাট করে দিয়েছে। আর মূল সংস্কারের কাজ করবে রাজউক।
তিন মাসের মধ্যে রাস্তাগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে জানিয়ে রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ (বাস্তবায়ন) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রকৌশল শাখা থেকে এরই মধ্যে ওই রাস্তা মেরামতের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। শিগগিরই টেন্ডারের প্রক্রিয়া শেষ করে রাস্তা সংস্কারের কার্যাদেশ দেয়া হবে।
তবে দুই সংস্থার এমন সমন্বয়হীনতায় হাতিরঝিলের রাস্তায় চলাচলকারীদের দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে।
এসজেড/
Leave a reply