মরদেহ রাখার জায়গা হচ্ছে না গাজার মর্গগুলোতে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকায় বেড়েই চলেছে প্রাণহানি। এতো মৃতদেহ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। শনিবার (৭ অক্টোবর) ইহুদি ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন অভিযানের পর প্রতিশোধ নিতে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। যার ফলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, সময় যত গড়াচ্ছে ততই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। নারী-শিশু কিংবা প্রবীণরাও রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি সহিংসতা থেকে। পলে এত মরদেহ সংরক্ষণ ও স্থানসংকুলান করাই হয়ে উঠেছে বড় চ্যালেঞ্জ। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে প্রিয়জনের নিথর দেহ। দাফনের জন্য সেই মরদেহ নিতে মর্গগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে স্বজনরা। আপনজন হারানোদের আর্তনাদে ভারী হাসপাতালের বাতাস।
দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। এর মাঝেই, কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ খুঁজে পাচ্ছেন নিজের আপনজনেরই মৃতদেহ। গাজাজুড়েই তৈরি হচ্ছে এমন অনেক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কাদরি বলেন, গাজার প্রতিটি মর্গের হিমাগার এখন মরদেহে ভর্তি। এতো মানুষের মৃত্যু আগে কখনও একসাথে দেখেনি এ উপত্যকা। লাশগুলো কোথায় রাখা হবে সেটাই একটা চ্যালেঞ্জ এখন। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতেও প্রচণ্ড ভিড় সামলাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বামী-সন্তান, বাবা, মা হারিয়ে দিশেহার মানুষগুলো নিজেরাও প্রতি মুহূর্ত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। তারা বলছেন, এখানে যা যা হয়েছে বা হচ্ছে, তার সিকিভাগও আমি বলে বোঝাতে পারবো না। মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু রক্তে ভিজে যাচ্ছে। একের পর এক মানুষ মরছে। কী হবে তা শুধু আল্লাহ জানেন। জীবন বাঁচাতে অনেকেই পালাচ্ছে। তবে কোথাও গিয়ে আসলেই কি কোনো লাভ আছে?
আন্তর্জাতিক মহলের শঙ্কা- ইসরায়েল দ্রুত আগ্রাসন না থামালে গাজায় নেমে আসতে পারে আরও মানবিক বিপর্যয়।
এসজেড/
Leave a reply