ছাব্বিশেই হারিয়ে গেলেন সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগী

|

২০১৫-তে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন শেরিকা ডি আরমাস। ছবি- সংগৃহীত

জরায়ু ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে লড়তে অবশেষে হেরেই গেলেন। বলা হচ্ছে ২০১৫ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করা শেরিকা ডি আরমাসের কথা। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করলেন সাবেক এই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগী। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

শেরিকার মৃত্যুতে শোক ছড়িয়ে পড়েছে উরুগুয়েসহ বিশ্বজুড়েই। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর শেরিকার মৃত্যু হয়। প্রায় দুই বছর ধরে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি চিকিত্সার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

শেরিকার ভাই মেক ডি আরমাস সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে এক পোস্টে বলেন, সেরাই থেকো, আমার ছোট বোন। সর্বদা এবং চিরকাল…

উরুগুয়ের ২০২২ সালের মিস ইউনিভার্স কার্লা রোমেরো শোক প্রকাশ করে বলেছেন, মিসেস ডি আরমাস এই বিশ্বের গর্ব। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দর নারীদের একজন তিনি।

২০১৫ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন শেরিকা ডি আরমাস। সে সময়ে নেট উরুগুয়েকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আমি সব সময় মডেল হতে চেয়েছিলাম, তা বিউটি মডেল হোক, বিজ্ঞাপনের মডেল হোক বা হোক ক্যাটওয়াক মডেল।

তিনি আরও বলেছিলেন, আমি ফ্যাশনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই পছন্দ করি। আমি মনে করি, মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মধ্যে যে কোনো মেয়ের স্বপ্ন। চ্যালেঞ্জে পূর্ণ এই অভিজ্ঞতায় থাকতে পেরে আমি খুবই খুশি।

শেরিকা ডি আরমাস প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তার কোম্পানি মেকআপ এবং চুলের যত্নের পণ্য বিক্রি করতো। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় নিয়োজিত পেরেজ স্ক্রিমিনি ফাউন্ডেশনেও যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ১১ হাজার নারী ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply