লেবাননেও ছড়াতে পারে গাজা-ইসরায়েল সংঘাত, শঙ্কা বিশ্লেষকদের

|

লেবাননে ফ্রান্সের দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে লেবাননেও। একদিকে সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে হিজবুল্লাহর লড়াই চলছে। অন্যদিকে তেলআবিব বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বৈরুত। এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েল বলছে, প্রয়োজনে লেবাবনের সাথেও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আইডিএফ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে লেবাননেও। খবর রয়টার্সের।

গাজা-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পরই হিজবুল্লাহ গেরিলাদের ছোড়া মিসাইলে ধ্বংস হয় একটি ইসরায়েলি ট্যাংক। ওই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকা থেকেই লেবাননের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর মুহুর্মুহু হামলা। কখনও ট্যাংক আবার কখনও দূরপাল্লার কামান থেকে চলছে এসব হামলা। তেলআবিবের দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে হামলা। যদিও বেসামরিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লেবানন সীমান্তজুড়ে চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আর্মার্ড ডিভিশনের টহল।

উত্তপ্ত সীমান্তের ভেতরের পরিস্থিতিও। ফিলিস্তিন আর লেবাননে আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরায়েলি বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পুরো লেবানন। যুক্তরাষ্ট্রসহ একের পর এক পশ্চিমা দূতাবাসকে ঘিরে চলছে হামলা-বিক্ষোভ। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষও অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ লেবানন ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সবকিছু মিলিয়ে সীমান্তের ভেতরে-বাইরে বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে লেবাননের।

সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাস্টিন ক্রাম্প বলেন, লেবাননের বিভিন্ন দূতাবাসগুলোতে হামলা হচ্ছে। এতেই স্পষ্ট সাধারণ মানুষ ইসরায়েলের প্রতি কতটা ক্ষুব্ধ। তার ওপর ইরান হিজবুল্লাহকে বড় ধরনের সমরাস্ত্র সহায়তা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে পড়বে লেবানন।

ইরানের মদদপুষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল লেবানন পুরোদস্তু অভিযান শুরু করলে তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়বে ইরান সেটিও বোঝা যাচ্ছে। এরইমধ্যে তেলআবিব ঘোষণা দিয়েছে, দুই ফ্রন্টেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সংঘাতের পরিধি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পিটার লার্নার বলেন, আমরা বুঝতে পারছি, ইরান আমাদের সক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এজন্য তারা একদিকে হামাসকে লেলিয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে উস্কে দিয়েছে হিজবুল্লাহকে। কিন্তু আমরাও জানিয়ে রাখছি, দুই ফ্রন্টে লড়াই করার সক্ষমতা রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর। হিজবুল্লাহ যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তাদেরকেও কঠিন পরিণতি বরণ করতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবানন-ইসরায়েল সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, যার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বেই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply