শাকিল হাসান:
২৮ অক্টোবরকে ঘিরে রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে। কথার লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। এদিন রাজধানীতে দশ থেকে বিশ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এজন্য দফায় দফায় বৈঠক ও কর্মীসভা করছেন দলগুলোর নেতারা। নানান নির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে। এসব খবরে আতঙ্ক বাড়ছে জনসাধারণের। শনিবার কী হতে চলেছে, এমন প্রশ্নই ঘুরছে তাদের মনে।
গত ১৮ অক্টোবর নয়াপল্টনের জনসভা থেকে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই দিন আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশ থেকে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়। পরেরদিন আওয়ামী লীগও ২৮ অক্টোবর সমাবেশের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় দুই দলের নেতাদের কথা লড়াই। তবে দুই পক্ষেরই লক্ষ্য রাজধানী দখল।
সমাবেশ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আমরা সমাবেশ করব। সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগম হবে। এছাড়াও উচ্ছৃঙ্খল কোনো কর্মসূচি বিএনপি করেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠন এই দিনটিতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আতঙ্কিত। ঢাকা মহানগরে সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়েছে। এই সন্ত্রাসীরা যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারে।
পাঁচ বছর পর আসে নির্বাচন। আর নির্বাচনের বছর শুরু হলেই শুরু হয় এই রাজনৈতিক উত্তাপ। কেউ কেউ আবার বসে থাকেন, এই উত্তাপে ঘি ঢালতে। এসবের মাঝে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। তাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ জনসাধারণের চাওয়া।
এসজেড/
Leave a reply