হামাসের বিরুদ্ধে এবার নতুন অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আয়রন স্টিং নামের মর্টার দিয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির টানেলসহ বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালানো হচ্ছে। লেজার এবং জিপিএস সম্বলিত গোলা ব্যবহার করে এই মর্টার থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নির্ভুলভাবে আঘাত হানা যায়। খবর এনডিটিভির।
গত কয়েকদিন ধরেই গাজায় চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে যুক্ত হয়েছে এই নতুন অস্ত্র। সাধারণত মিসাইল বা রকেটে জিপিএস কিংবা লেজার সংযুক্ত থাকে। তবে ইসরায়েলই প্রথম যারা এই লেজার এবং জিপিএস গাইডেড মর্টার শেল ব্যবহার করছে। এলবিত নামের একটি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি এই মর্টার গত বছর সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করে ইসরায়েল।
মূলত টার্গেট নির্দিষ্ট করার পর আয়রন স্টিং মর্টার ছোড়া হয়। এরপর স্যাটেলাইটের আদলে ড্রোন থেকে জিপিএস বা লেজারের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয় শেলগুলোকে। ফলে খুব সহজেই নিখুঁত আঘাত হানতে পারে লক্ষ্যবস্তুতে।
সমতল হোক বা এবড়ো থেবড়ো ভূমি, গ্রামীণ এলাকা হোক বা শহুরে স্থাপনা, যেকোনো অঞ্চলে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম আয়রন স্টিং মর্টার শেল। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট মাগলান ব্যবহার করছে এই মর্টার। আয়রন স্টিংয়ের হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক হামাস সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি তেলআবিবের।
এদিকে, গাজায় নৃশংসতা আর আগ্রাসনের যেন বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে বদ্ধপরিকর দখলদার ইহুদি বাহিনী। হামাসের দাবি, এ পর্যন্ত উপত্যকাজুড়ে ১২ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলা হয়েছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ভয়ঙ্কর পারমাণবিক অস্ত্রের সমতুল্য। প্রথম ছয়দিনে ছোড়া হয়েছিল ৪ হাজার টন ওজনের মোট ছয় হাজার বোমা। বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে এক বছরে মোট যত বোমা মেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র, এই কয়দিনেই তা ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েল।
পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডের প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে বিস্ফোরক পড়েছে ৩৩ টন। এতে গোটা উপত্যকায় নিরাপদ বলতে আর কোনো জায়গাই যেন আর অবশিষ্ট নেই।
এসজেড/
Leave a reply