বাংলাদেশে রফতানি হঠাৎ বন্ধ ব্যবসায়িক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর: ভারতের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংস্থা

|

সম্প্রতি দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মুখে হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এতে বেশ বিপাকে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। তবে সংকটের মুহূর্তে হঠাৎ বাংলাদেশে কোনো নিত্যপণ্য রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছে ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই। এরইমধ্যে বিষয়টি ভারত সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি সফররত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন দেশটির সিআইআই এর কর্মকর্তারা। তারা জানান, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে আলোচিত সিপা চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।

সিআইআই-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ বিদিশা গাঙ্গুলি বলেন, বাণিজ্যিক সংস্থা হিসেবে আমরা খুব স্পষ্টভাবে সরকারকে বলেছি, এটা ভালো কোনো নীতি নয়। এভাবে আকস্মিক প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভোক্তা থেকে শুরু করে বিশ্ববাজারেও এর প্রভাব দেখা দেয়।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো ঢাকায়ও তারা নিজেদের একটি কার্যালয় স্থাপন করতে চান বলে জানান সিআইআই কর্মকর্তারা। তারা মনে করেন, দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে। আলোচিত সিপা চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পারস্পরিক বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমে আসবে বলে মত তাদের।

সংস্থাটির চিফ অপারেটিং অফিসার কৌশলেন্দ্র সিনহা বলেন, সিপা বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব আরও বাড়বে। কারণ বিষয়টি এমন নয় যে, বাংলাদেশের অগ্রগতি ভারতের জন্য কিংবা ভারতের অগ্রগতি বাংলাদেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তারা মনে করেন, দুদেশের মধ্যে জলপথ ব্যবহার করে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভারতের উত্তরপূর্বাংশেও বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

সিআইআই-এর সদস্য পঙ্কজ টেন্ডন জানান, কিছু অঞ্চলের জন্য উন্মুক্ত বিনিয়োগকে আমন্ত্রণ জানানোর একটা নীতি আছে। সেখানে বিনিয়োগটা দেশি না বিদেশি, তাতে কোনো বিধিনিষেধ থাকে না। আমাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলেও এমন সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশের যেকোনো বিনিয়োগকারী নিতে পারেন।

দুদেশের মধ্যে ভারতীয় রূপিতে বাণিজ্য ও নগদ অর্থবিহীন ডিজিটাল লেনদেনও বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন গতি দেবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply