দেড় মাসের মাঠের লড়াই শেষে ওয়ানডের নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পেলো ক্রিকেট বিশ্ব। ভারতকে স্তব্ধ করে শ্রেষ্ঠত্বের মসনদে মাইটি অস্ট্রেলিয়া। আসরে আলো ছড়িয়েছেন অনেক তারকা। আবার নিজের আগমনী বার্তাও দিয়েছেন কেউ কেউ। অনেকেই আবার সুবিচার করতে পারেননি নিজের নামের প্রতি।
এবার চলছে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বাছাইয়ের কাজ। উইজডেনের পর সেই কাজটি এবার করলো বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যেখানে সর্বোচ্চ প্রাধান্য পেয়েছে ‘রানারআপ’ ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দেশটির ৬ জন ক্রিকেটার আছেন একাদশে। চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া থেকে ২ জন। একজন করে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড থেকে। দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন প্রোটিয়া পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি।
আইসিসি একাদশে জায়গা হয়নি ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের কোনো ক্রিকেটারের। এমনকি, একাদশে কিউই অলরাউন্ডার রাচীন রবীন্দ্রের নাম না থাকাটাই যেন সবচেয়ে বড় চমক।
আইসিসির একাদশে ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে কুইন্টন ডি কক ও রোহিত শর্মাকে। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৭ রান করেছেন রোহিত। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৪ রান করেছেন ডি কক। একাদশে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায়ও রাখা হয়েছে তাকে।
তিন নম্বরে আছেন আরেক ভারতীয় ভিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ না জিতলেও স্বপ্নের এক আসর কাটিয়েছেন ‘কিং’ কোহলি। শচীনের রেকর্ড ভাঙার আসরে ৭৬৫ রান করে হয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরাও।
এরপরেই আছেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল। ৫৫২ রান করা এই ব্যাটারকে জায়গা করে দিতে গিয়ে আরেক কিউই খেলোয়াড় রাচীন রবীন্দ্রকে উপেক্ষা করেছে আইসিসি।
তবে একাদশের সবচেয়ে সমালোচিত নাম নিঃসন্দেহে লোকেশ রাহুল। ৪৫২ রান করা এই ভারতীয়কে ব্যাটিং ক্রমের পাঁচ নম্বরে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র ‘ব্যাটার’ হিসেবে।
লোয়ার মিডল অর্ডারের দায়িত্বভার থাকছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও রবীন্দ্র জাদেজার কাঁধে। আফগানদের বিপক্ষে ২০১ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলা ম্যাক্সওয়েল অটো চয়েস হলেও বিতর্ক আছে জাদেজার নাম নিয়ে। পুরো আসরে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স ছিলো না এই ভারতীয়র। ফাইনালেও ছিলেন চরম ব্যর্থ।
একাদশে একমাত্র স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে রাখা হয়েছে অ্যাডাম জাম্পাকে। বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ২৩ উইকেট শিকার এই অজি স্পিনারের।
পেসার হিসেবে দুই ভারতীয় জাসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামির সাথে রাখা হয়েছে লঙ্কান দিলশান মাদুশাঙ্কাকে। শামি চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী (২৪টি)। আর মাদুশাঙ্কা নেন ২১টি উইকেট।
/এএম
Leave a reply