ফের বাড়তে পারে ভোজ্যতেলের দাম

|

ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়াতে চায় উৎপাদক সমিতি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন। ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণেই এই মূল্য সমন্বয়ের প্রস্তাব। তবে ঠিক কত ডলারে ঋণপত্র খোলা হয়েছে সেই তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন।

বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৭৯ টাকা। পাঁচ লিটারের ক্ষেত্রে ৮২৫ টাকা মূল্য বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে খোলা এবং বোতলজাত তেলের দাম সমন্বয় করে দেয় মন্ত্রণালয়।

স্বাভাবিকের চেয়ে দামের এমন ঊর্ধ্বগতিতে স্বস্তিতে নেই নিম্ন আয়ের মানুষ। এরই মধ্যে তেল নিয়ে আবারও এলো দুঃসংবাদ। গত ৯ নভেম্বর আবারও দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে উৎপাদক সমিতি। বলা হয়েছে, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আগের দাম ধরে রাখা কঠিন। উৎপাদক সমিতি চিঠিতে জানায়, আগে ডলারের দাম ১১১ টাকা ধরে মূল্য সমন্বয় করা হয়। তবে এখন ১২২ থেকে ১২৩ টাকা। এরই মধ্যে বাজারে দামের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগে পাইকারি পর্যায়ে তেলের যে ছাড় দেয়া হতো, এখন তা দেয়া হয় না। ফলে দাম কমের সুফল পাচ্ছে না ক্রেতা।

উৎপাদক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম, স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য পরিস্থিতি এবং ঋণপত্র খোলার মূল্য এসব দিক খতিয়ে দেখছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply