আসন বরাদ্দ নিয়ে এখনও অপেক্ষায় ১৪ দলীয় জোট, কী বলছেন নেতারা?

|

বিগত তিনটি নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদকে দুই বা তারও বেশি আসন ছেড়েছিল ক্ষমতাসীনরা। তবে এবারের নির্বাচনে শরিক দলগুলোর আসন বরাদ্দ নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনও অপেক্ষায় আছেন। তারা কয়টি আসন পাবেন, তা জানতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায় তারা। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সংশয় নেই।

২০১৪ সালের নির্বাচনের সাথে ২০২৪ সালের নির্বাচনের মিল হচ্ছে, বিএনপির বর্জন। ১৪ সালে ৫৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। ‘২৪ সালের জন্য তারা এককভাবে চূড়ান্ত করেছে ২৯৮ আসন। এবার শেষ পর্যন্ত ১৪ দলের শরিকদের কয়টি আসন দেয়া হচ্ছে, তা জানতে বাড়ছে অপেক্ষা। মনোনয়নের শেষ দিনেও তা জানা না গেলে, অপেক্ষা বাড়তে পারে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের মধ্যে যেসব প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো, তাদেরকে মনোনয়ন অবশ্যই দেবো।

শরিক ১৪ দলের মধ্যে ৬টি দল ইসিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তারা নৌকা প্রতীক নিয়ে জোটগতভাবে ভোট করবে। তবে ইসির বিধান অনুযায়ী, দলগুলো নিজ নিজ প্রতীকেও প্রার্থী দিতে পারবে। যেমনটি দেখা গেছে, ২০০৮ সালে।

বিষয়টি নিয়ে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা বলেছিলাম মনোনয়ন দেয়ার আগেই আসন বন্টন চূড়ান্ত করতে। এতে বিভ্রান্ত কম হয়, প্রার্থীরাও কাজ করার সুযোগ পায়।

এদিকে, শরিক দলগুলো এখন ব্লাইন্ড খেলছে উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা আমাদের কর্মীদের কাছে এখন কিছুই বলতে পারছি না, যে কী হতে পারে। এখন বলতে গেলে আমরা ব্লাইন্ড খেলছি।

২০১৪ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ ও শরিকেরা। এবার সমীকরণটা আলাদা। কারণ এবার আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী থাকছে মাঠে। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ডামি প্রার্থীও কার্যত ঠিক করে দেবে দল। তাহলে ১৪ দলের ইস্যুতে আসন ছাড়া বা ডামি প্রার্থীর বিষয়ে কী হবে?

হাসানুল হক ইনু বলেন, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বা কোনো হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নির্বাচন আমরা স্বাচ্ছন্দবোধ করি না। আমার মনেও হয় না, বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল করার কোনো চেষ্টা বিদেশি কোনো শক্তি করবে।

এ ইস্যুতে রাশেদ খান মেননের ভাষ্য, ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে তাদের প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। সিইসি বলেছেন যে, থাবা পড়েছে। সেই থাবাটা কতটা জোরদার হবে তার ওপর নির্ভর করছে জোটের গ্রহণযোগ্যতা বা ঐক্যবদ্ধতা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল বা বিএনপিত্যাগী কিছু নেতা ও তাদের দলের জন্য দলীয় টিকিট পেলেও কপাল পুড়তে পারে আওয়ামী লীগের কয়েকজনের। এই তালিকার ওপর নির্ভর করছে শরিক ও মিত্রদের আসন সংখ্যা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply