সরকারের পদত্যাগ, ডামি নির্বাচন বর্জন ও বিচার বিভাগে স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল বিভাগ, হাইকোর্টসহ সারাদেশের সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা।
অন্যদিকে এই কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বলেছেন, এটি বিচারকাজে হস্তক্ষেপের সামিল। এর ফলে বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন সংগঠনের মহাসচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এ সময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ, সমস্ত জেলা আদালত, সেশন আদালত, মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, মুখ্য জুডিশিয়াল আদালতসহ সমস্ত আদালত বর্জন করা হবে। এ কর্মসূচি বিএনপির ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি সরকার আরেকটি নীলনকশার পাতানো ডামি নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ, ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচী।
গত ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের কথা উল্লেখ করে কায়সার কামাল আরও বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের ওপর সরকারের পেটোয়া বাহিনী ক্র্যাকডাউন করেছে। ওই ঘটনায় নেতাকর্মীদের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে। যা দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
বক্তব্যে, ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ সকল বিচারকদের কাছে আদালত বর্জনের এই সিদ্ধান্তের চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক এই সম্পাদক।
/এমএইচ
Leave a reply