ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চীনের অস্ত্র ব্যবহার করছে হামাস, এমন দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। কিন্তু হামাসের হাতে চীনের অস্ত্র এলো কীভাবে? প্রশ্ন উঠছে চীন নিজেই হামাসকে সহায়তা দিচ্ছে কিনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চীন। এ তালিকায় নাম উঠছে ইরানেরও। খবর রয়টার্সের।
কিউবিজেড অ্যাসল্ট রাইফেল, কিউএলজেড এইটি সেভেন গ্রেনেড লঞ্চার, এম-সিক্সটিন রাইফেলের কার্তুজ এমনকি অত্যাধুনিক দূরবীন, লিসেনিং ডিভাইস এবং সামরিক রেডিও- হামাসের ভাণ্ডারে এমন বিপুল পরিমাণ অস্ত্র চীন থেকেই এসেছে বলে দাবি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের। ইসরায়েল-চীন দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের পরও হামাসের হাতে কীভাবে এলো এসব অস্ত্র, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এ ঘটনায় বেইজিং সরাসরি জড়িত কিনা তা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের হাত হয়েও গাজায় পৌঁছাতে পারে এসব অস্ত্র।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক বারি জানান, চীনের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। এখন প্রশ্ন হলো চীন এই বিষয়ে অবগত কিনা? সরাসরি তারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে। আবার এটি ইরানের কারসাজিও হতে পারে।
কারও কারও আবার ধারণা, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চীন। সে উদ্দেশ্যেই হামাসকে অস্ত্র দিতে পারে বেইজিং।
দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট পলিসি থিংক ট্যাংকের প্রধান মাইকেল সিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করতে চীন নতুন পথে হাঁটছে। এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে সবসময় নির্লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে চীনকে। এবার সে অনেকটা পাল্টেছে সে চিত্র।
গাজায় ইসরায়েলের অভিযানকে আগ্রাসন হিসেবেই আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। পাশাপাশি হামাসকে জঙ্গি সংগঠন বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার হামাসকে অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, নিশ্চিতভাবেই তিক্ততায় রূপ নেবে চীন-ইসরায়েল সম্পর্ক। টানাপোড়েন বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও।
এসজেড/
Leave a reply