আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আলোচনা, জল্পনা আর যুক্তরাষ্ট্র-চীনের গভীর নজরদারির মাঝেই শেষ হলো তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই চিং তে। খবর আল জাজিরার।
তবে ভোটের ফলাফলে উদ্বেগ আরও ঘনীভূত হয়েছে। চীনের ঘোর বিরোধী ডিপিপির বিজয়ে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ফল প্রকাশের পরই চীনের বার্তা আগুনে ঘি ঢেলেছে। তাইওয়ানের সাথে চীনের একত্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই, ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় এমন বার্তাই দিয়েছে বেইজিং। তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের দাবি, মার্কিনপন্হি নেতৃত্বও এই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে না।
নির্বাচনে জয়ের পরই চীনবিরোধী দৃঢ় অবস্থানের জানান দিয়েছেন লাই চিং তে। বহিঃশক্তির হুমকি মোকাবেলা করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বার্তা তার। বিজয়ী প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্রের একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য তাইওয়ানের জনগণকে ধন্যবাদ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলতে চাই, গণতন্ত্র ও কর্তৃত্ববাদের মধ্যে আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াব। বরাবরই আমরা বাইরের শক্তিকে সফলভাবে প্রতিহত করে আসছি। এই প্রক্রিয়া চলতি মেয়াদেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ঘিরে চলছে তোলপাড়। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না, বাইডেনের আকস্মিক এমন বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করছে।
অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিনঘেঁষা প্রার্থীর বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। এর ফলে, অঞ্চলটিতে সামরিক উত্তেজনা আরও জোরালো হবে বলে শঙ্কা তাদের।
/এএম
Leave a reply