অধ্যবসায় থাকলে সব অর্জন সম্ভব: মার্তা

|

ফুটবলে ঐতিহ্যগত দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী দেশ ব্রাজিল। তবে অর্জনের পাল্লাটা কেবল হেলে আছে ছেলেদের ফুটবলের দিকেই। সর্বাধিক পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইভ স্টার ক্লাবে অনেক আগেই জায়গা করে নিয়েছে সেলেসাওরা। ঠিক এর বিপরীত চিত্র দেশটির নারী ফুটবলে। সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হিসেবে মার্তার নামটা জ্বলজ্বল করলেও এখনো ছুঁয়ে দেখা হয়নি সোনালি কাপটা।

সর্বকালের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলার হিসেবে নিজেকে বহু আগেই চিনিয়েছেন নিজের জাত। ছয়বার ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের স্বীকৃতি প্রমাণ করে মার্তার সামর্থ্য। ফুটবলে অসামান্য অবদানের জন্য ‘ফিফা দ্য বেস্ট’-এ বিশেষ সম্মাননা পান ব্রাজিলের নারী ফুটবল কিংবদন্তি। ক্যারিয়ারজুড়ে অর্জিত অনন্যসব অর্জনের জন্য বিশেষ পুরস্কার পান তিনি।

লন্ডনে মার্তাকে বিশেষ সম্মাননা জানানোর দিনে নতুন পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দেয় ফিফা। তাকে সম্মান জানিয়ে ২০২৫ সাল থেকে মেয়েদের সেরা গোলের জন্য ‘ফিফা দ্য বেস্ট’-এ দেয়া হবে ‘মার্তা পুরস্কার’। এমন অর্জনের পথ তৈরিতে কঠিন সময় পার করার কথা জানান তিনি।

মার্তা বলেন, ২০ বছর আগে যখন আমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম, তখন এমন পরিস্থিতি ছিল না। আমরা সবসময় সমঅধিকারের কথা বলে এসেছি। লড়াই করেছি নিজেদের অধিকার আদায়ে। কঠিন অধ্যবসায় ও একাগ্রতায় এমন অর্জন এসেছে বলে মনে করি। এই সাফল্য কেবল আমার একার নয়; এই সাফল্য আমার সমসাময়িক ফুটবলে আসা সকল নারীদের।

ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ না জিতলেও সর্বোচ্চ ১৭ গোলের মালিক জানান, কেবল সম্মান পাওয়াটাই শেষ অর্জন নয়, তা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন কঠিন অধ্যবসায়। বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই স্বপ্ন দেখতে হবে। কখনও কখনও তা হতে পারে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। পরিশ্রম ও একাগ্রতা দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে হবে সবসময়। নিজের ওপর রাখতে হবে আত্মবিশ্বাস। সময় পক্ষে না গেলেও কখনও হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না।

শুন্য থেকে শুরু করে ফুটবল ক্যারিয়ারে অসামান্য সব কীর্তি তৈরি করেছেন মার্তা। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার পেয়েছেন ফিফা বর্ষসেরার স্বীকৃতি। ৮ বছর বিরতির পর ২০১৮ সালে আবারও এই পুরস্কার পান মার্তা।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply