ভোটের দিনে পাকিস্তানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

|

পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। সাময়িকভাবে মুঠোফোন সেবা বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট সেবাও।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। এতে সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। অবনতি ঘটছে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।

দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতাল রাজা জানিয়েছেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ও ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবা বন্ধ করার যে প্রক্রিয়া তা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। তবে এটি ইতিবাচক বটে।

এদিকে, ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও সাবেক সিনেটর মুস্তফা খোখার। তার মতে, ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্নতা সৃষ্টি করে নিরবে কারচুপি করবে কিছু বিশেষ দল ও গোষ্ঠি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটাররা এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন। তারা বলেছেন, এমন (ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবা বন্ধ) ভোগান্তির পরিবর্তে রাষ্ট্রের উচিত ছিল ভোটারদের আরও সুবিধা করে দেয়া। কিন্তু হচ্ছেটা বিপরীত।

পিপিপির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো টুইট করে অবিলম্বে দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা ও ইন্টারনেট সচল করতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ১২ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে এবারের নির্বাচনে। ভোটে লড়ছে ১৪টি দলের প্রার্থী। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে ৮৫৯ আসনে লড়ছেন প্রায় ১৮ হাজার প্রার্থী।

এ নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা দলের প্রতীকে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি। দণ্ডিত হয়ে তিনি কারাগারে রয়েছেন। সেখান থেকেই ভোট দিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে আস্থাভোটে ক্ষমতা হারান সাবেক এই ক্রিকেটার।

/এমএইচআর/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply