বছর ঘুরে এসেছে মাহে রমজান। সারাদিন রোজার পর ইফতারে সবাই চায় মুখোরোচক খাবার। আর এই স্বাদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকান পসরা সাজায় বাহারি ইফতার আইটেমের। তবে তৃতীয় রমজানেও খুব একটা জমে উঠেনি ধানমন্ডি এলাকার ইফতার বাজার।
গুটিকয়েক জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকানে ক্রেতা সমাগম থাকলেও সামগ্রিকভাবে ইফতারের দোকানের সংখ্যা ও মানুষের ভিড় এবার কম। ধানমন্ডি এলাকার সাত মসজিদ রোড প্রসিদ্ধ নামকরা সব রেস্টুরেন্টের জন্য। কিন্ত এখন পর্যন্ত এই সড়কে জমে উঠেনি ইফতারের বাজার। শুরু হয়নি ইফতার পার্টির মত আয়োজন। কিছু কিছু গলির মুখে ঘটা করে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ইফতার বিক্রি করলেও সামগ্রিকভাবে সেটি কম। কারণ হিসেবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া, বেইলি রোডের ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এক ক্রেতা বলেন, এবার সবকিছুরই দাম বেশি। কিছু কিছু দোকানে দাম বেড়ছে। আর যেখানে দাম বাড়েনি সেখানে হয়তো পণ্যের মান কমানো হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পুরো চাপ সাধারণ ভোক্তাদের ওপর পড়েছে।
আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, ডিম সবকিছুরই দাম এবার বেশি। এতে করে মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় গতবারের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এটির কারণে মানুষ খরচের লাগাম টানতে চাচ্ছে।
এদিকে, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নানা পদের কাবাব, রুটি-পরোটা, হালিমসহ নানা আইটেমে ভরপুর ইফতারের দোকানগুলো। তবে আশানুরূপ ক্রেতা নেই দাবি বিক্রেতাদের।
এক বিক্রেতা বলেন, তেল, ঘি, আটা, চিনি, ময়দার দাম বেশি। এরপর অন্যান্য উপকরণের দামও বেশি। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে দামও কিছুটা বাড়াতে হয়েছে। ক্রেতাও কমেছে গতবারের তুলনায়।
আরেক বিক্রেতা বলেন, এবার ক্রেতা কিছুটা কম। অন্যবার বেশি থাকতো। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এমনটি ঘটতে পারে এমনটি মনে করছেন তিনি। সামনের দিনগুলোতে ক্রেতা বাড়তে পারে বলেও আশা করছেন এই দোকানি।
/এনকে
Leave a reply