ঈদের দিন যেসব আমল বেশি করতে হয়

|

পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ দুটি উৎসবের মধ্যে একটি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য একটি বিশেষ উপহার ঈদ। ঈদ মানে খুশি, উঁচুনিচু ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে সারিবদ্ধ হওয়া। অসহায়ের মুখে হাসি ফোটানো। ঈদের আনন্দ ও উল্লাস অনেক বেশি প্রাণবন্ত হবে সেটা যদি নবী আদর্শে হয়। নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কিছু নির্দিষ্ট আমল করতেন যেগুলো অনুকরনীয় আমাদের জন্য। এমন কয়েকটি নিম্নরুপ:

ভালোভাবে গোসল এবং ভালো পোশাক পরিধান করা। এটা রাসুল (সা.) এবং তার সাহাবিদের আমল ছিল। নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন।

নামাজ পড়তে ঈদগাহে যাওয়ার আগে খেজুর বা মিষ্টান্ন খাবার খাওয়া। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর এক বর্ণনায় আনাস (রা.) রাসুল (সা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি তা বেজোড় সংখ্যায় খেতেন।

নামাজ পড়তে যাওয়া এবং আসায় রাস্তার পরিবর্তন করা। অর্থাৎ যাবার সময় যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার পথে অন্য রাস্তায় ফিরে আসা। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ঈদের দিন বাড়ি ফেরার পথে ভিন্ন পথ দিয়ে আসতেন।

ঈদের নামাজ শেষে খুতবা শ্রবণ করা। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.), আবু বকর (রা.) ও ওমর (রা.) উভয় ঈদের নামাজ খুতবার আগে আদায় করতেন।

পরস্পর পরস্পরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো। হজরত ওয়াসিলা (রা.) ঈদের দিন হজরত রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। রাসুল (সা.) বললেন হ্যাঁ, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।

উল্লেখ্য, ইসলামে ঈদের প্রবর্তন হয়েছে দ্বিতীয় হিজরির মাঝামাঝি সময়ে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) যখন মদিনায় আসেন, তখন দেখেন যে সেখানকার লোকরা বছরে দুদিন (নওরোজ ও মেহেরজান) আনন্দ করে, খেলাধুলা করে। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের এ দুদিনের পরিবর্তে আরো বেশি উত্তম ও কল্যাণকর দুটি দিন দিয়েছেন। এক. ঈদুল ফিতর। দুই. ঈদুল আজহা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১/১৬১)

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply