বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট

|

ছবি: সংগৃহীত

শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা আগ্রাসী ব্যাটিং। নিয়মিত বাউন্ডারি আসবে, রানের ফোয়ারা ছুটবে, এটিই এই সংস্করণের মূল মন্ত্র। কিন্তু সেই কাজে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার মিডল অর্ডার সবখানেই স্ট্রাইক রেটের করুণ হাল।

পুরো জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থ টপঅর্ডার। বিশ্বকাপের আগে আর মাত্র ৩ ম্যাচ হাতে পাচ্ছে টাইগাররা। গেল দুই বছরে লিটন ছিলেন বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার কিন্তু তিনি এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নেই আহামরি কোনো অর্জন।

দুঃশ্চিন্তা আছে আরও। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও নেই ছন্দে। ২০২৩ সাল থেকে অধিনায়কত্ব করা ২০ অধিনায়কের মধ্যে স্ট্রাইকরেটের দিক থেকে তার অবস্থান ১৯-এ। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ১০ ইনিংসে অন্তত ২০০ রান করা ব্যাটারদের তালিকায় ১৭০তম শান্ত।

ওপেনার লিটনের ৮০ ম্যাচে স্ট্রাইকরেট ১২৮.৪৯। মাত্রই অভিষিক্ত তানজিদ তামিম- ৫ ম্যাচে ১২৩.০৭। ৮০ ম্যাচে সৌম্য সরকার- ১২২.১৪। নাজমুল শান্ত- ৩৬ ম্যাচ ১১১.১৬। সেই তুলনায় তাওহীদ হৃদয় বেশ ভালো করেছেন। ১৯ ম্যাচে ১৩৩.৯৩ তার স্ট্রাইক রেট। জাকের আলী- ১১ ম্যাচে ১২৭.৯২, রিশাদ- ১৪ ম্যাচে ১৩১.৬৬। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- ১২৮ ম্যাচে ১১৮.৮৯
আর সাকিব- ১১৯ ম্যাচে ১২২.২৭।

যদিও এই দুর্বল স্ট্রাইক রেট নিয়ে অধিনায়ক শান্তর আছে নিজস্ব ব্যাখ্যা। নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট…কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু এই জিনিসটা সময় দিতে হবে (বড় রান)।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের শেষ তিন ম্যাচে আগে ব্যাটিং করলেও কোনো ম্যাচে ১৭০ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে করা ১৬৫ রানই সিরিজের সর্বোচ্চ। বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্যের জায়গায়ও আছে সঙ্কট। মাত্র তিনটি ফিফটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে।

বিশ্বকাপের আগে শান্ত-লিটনের অফ ফর্ম বাংলাদেশের ক্রিকেট সমাজে আলোচনার অনেক বড় ইস্যু। এর মাঝে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের দুর্বল স্ট্রাইক রেট বিশ্বকাপে ভালো করার পথে বড় অন্তরায়।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply