ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৫৭টি হরিণ এবং চারটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে রিমালের পর উদ্ধারকৃত মৃত হরিণের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬টি।
এর আগে ৩৯টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ১০১টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এছাড়া, জীবিত ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলারচর, নীলকমল ও নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় মৃত বন্য প্রাণীগুলো পাওয়া গেছে। মৃত বন্য প্রাণীগুলোকে কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ভেসে আসা ১৮টি জীবিত হরিণ ও ১টি অজগর উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান– রিমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়েছে লবণাক্ত পানিতে।
/এএম
Leave a reply