জামালপুরে কমছে বন্যার পানি, চার উপজেলায় বন্ধ ২১৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

|

জামালপুর করেসপনডেন্ট:

জামালপুরে টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে বেড়ে যাওয়া যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। বন্যার কবলে ডুবে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। এতে জেলার চার উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে আরও ৩ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২১৪টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। ইসলামপুর উপজেলায় ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৫টি, মাদারগঞ্জে ৭ ও বকশীগঞ্জে একটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলা ছাড়া জেলার চারটি উপজেলায় মোট ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ইউনিয়নসহ ৪২ ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে‌। এতে প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও, উপজেলা শহরের সঙ্গে নিম্ন অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অবু তারেক মো. রওনাক আখতার বলেন, জামালপুর সদর উপজেলা ছাড়া জেলার চার উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোরবার (৭ জুলাই) এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম.মোজাম্মেল হাসান জানান, জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলাসহ মোট ৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে পানি ঢুকেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১২ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। যমুনার পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ১৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। যেকোনো এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের খবর পেলেই সেখানে দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply