রংপুরে বাধার মুখে কোটা আন্দোলনকারীরা

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, রংপুর

বাধার মুখে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ’বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ভেস্তে গেছে রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন, ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কেড়ে নেয়া হয়েছে তাদের ব্যানার।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৪ টায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে মডার্ন মোড়ে সড়ক অবরোধের জন্য যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাস থেকে বের হতে চাইলে ২ নম্বর গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের প্রথমে বাধা দেয় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে শিক্ষার্থীদের বচসা তৈরি হয়। একপর্যায়ে সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ তাদের। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা আন্দোলনকারীদের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং ধাওয়া দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ক্যাম্পাস সমন্বয়কারী শামসুর রহমান সুমন অভিযোগ করে বলেন, তাদের পূর্বনির্ধারিত অবরোধ কর্মসূচি ছিল। মিছিল শুরুর আগেই প্রক্টরিয়াল বডি, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আন্দোলন না করার নির্দেশ দেন। তাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্যাম্পাস থেকে কয়েকশ’ সাধারণ শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে মডার্ন মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে বাঁধার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় তারা।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, তারা মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধের দিকে যাচ্ছিল। প্রক্টর তাদের বাধা দিয়েছে। কিন্তু তারা প্রক্টরের ওপর চড়াও হয়। তখন সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, যেহেতু আদালত একটা রায় দিয়েছেন, তাই এ নিয়ে আর আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, তারা ক্যাম্পাসের বাইরে যাচ্ছিল। আমরা তাদের না যেতে অনুরোধ করেছিলাম। এসময় সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। সাথে সাথেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার আগে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক ও পার্কের মোড়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। তারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না করা, ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে আসা এবং অবরোধ না করার দাবি সংবলিত ব্যানার নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক মিছিল করে।

সার্বিক বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সরকার শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তারা যাতে সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে, সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছিল। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে যাবে বলেও জানান তিনি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply