লর্ডসেই শুরু, লর্ডসেই শেষ। লাল বল হাতে আর মাঠে দেখা যাবে না ইংলিশ কিংবদন্তি জেমস অ্যান্ডারসনকে। জয় দিয়েই ২১ বছরের এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানলেন অ্যান্ডারসন। তার বিদায়ের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১১৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বে সমাপ্ত হল জিমি অ্যান্ডারসন যুগের।
হয়তো আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন। রেকর্ড বইটা আরো বড়ো করতে পারতেন। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা মতোই লর্ডস টেস্টের পরেই ২২ গজকে বিদায় জানিয়ে দিলেন অ্যান্ডারসন। ঐতিহ্যের লর্ডসও আবেগতাড়িত হয়ে উঠল প্রিয় জিমির জন্য। আবেগে চোখের জলে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ব্রিটিশ তারকা পেসার।
২২ বছরের একটা ইতিহাসময় অধ্যায়ের সমাপ্তি। ১৮৮ টেস্ট ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৭০৪টি। গড় ২৬.৪৫। ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩২ বার। ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩২ বার। শুধু পরিসংখ্যানে অ্যান্ডারসনকে মাপা যাবে না। তার ব্যাপ্তি আরও প্রসারিত। ঐতিহ্যের ব্রিটিশ ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের নামটা উপরের দিকেই রেখে গেলেন জিমি।
ম্যাচ শেষের পর অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জিমি। চোখের দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে এই বুঝি কান্না করবেন। আবেগি হওয়াটা যে খুব স্বাভাবিক। না তিনি কান্না করেননি। গত দুই দশক ধরে বিশ্বের বাঘা-বাঘা ব্যাটারদের শাসন করা অ্যান্ডারসন অবশ্য এদিন নিজের আবেগ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রনে রাখেন।
বারবার তার চোখ চলে যাচ্ছিল লর্ডসের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব হাউসের দিকে। অনেকবার তাকিয়েছেন গ্যালারির দিকেও। যে গ্যালারি তাকে ক্রিকেট জীবনের শুরুতে স্বাগত জানিয়েছিল, সেই গ্যালারির দিকেই বারবার ফিরে তাকালেন অ্যান্ডারসন। সেইসঙ্গে, ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি যুগের যেন অবসান ঘটলো।
ম্যাচের পর অ্যান্ডারসন বলেন, সতীর্থদের সঙ্গে ম্যাচটা উপভোগ করার চেষ্টা করেছি । অনেক মানুষ আমাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছে। সত্যিই আমি মুগ্ধ এবং অভিভূত। আমার ক্রিকেটজীবন নিয়ে আমি খুব গর্বিত।
কিংবদন্তি এ পেসার আরও বলেন, অসংখ্য স্মৃতিকে সঙ্গী করে বিদায় নিচ্ছি। আমার পরিবার, সতীর্থ, কোচ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য ছাড়া এতদূর আসা সম্ভব ছিল না। তাই সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
/ওয়াইবি/আরআইএম
Leave a reply