নতুন বছরে বাড়বে বিটকয়েনের দাপট!

|

নতুন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বাড়বে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাপট। ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিপাবলিকান পার্টিসহ বাজার সম্প্রসারণের পক্ষে কংগ্রেসও। বিশ্লেষকরাও দিচ্ছেন লগ্নি করার পরামর্শ। তবে, বাংলাদেশে বিটকয়েনে লেনদেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এখন বিটকয়েনের দাম এক লাখ ৭ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই তরতর করে বাড়ছে এই ডিজিটাল মুদ্রার দর।

নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বেশ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিবান্ধব পরিবেশ তৈরির।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, আমি ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যত নিশ্চিত করব এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অংশ হয়ে উঠবে। আর বিটকয়েনের রাজধানী হবে যুক্তরাষ্ট্র।

বর্তমানে ক্রিপটোকারেন্সি থাকা ৫০ মিলিয়ন ব্যক্তির স্বার্থ সুরক্ষায় তার প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। বৈশ্বিক আর্থিক বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিটকয়েনের দাম আরও বাড়তে পারে।

এস অ্যান্ড পি গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্ড্রু ও নেইল বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে আগের তুলনায় নতুন মার্কিন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আরও সদয় হবে। হোয়াইট হাউস, সিনেট কিংবা রিপাবলিকান পার্টি সবারই সেটার প্রতি সমর্থন রয়েছে। তাই বিটকয়েনের মূল্যবৃদ্ধির যে ধারা সেটা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

বিনিয়োগ বাজারে বিটকয়েন বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, অনেক বিনিয়োগকারী বিটকয়েনে লগ্নি করাটাকে নিরাপদ মনে করেন।

গবেষক ড্যান আইভস বললেন, সম্পদ হিসেবে বিটকয়েনকে চাইলেই অগ্রাহ্য করা যাবে না। আপনি যখন স্টক, বন্ড, স্বর্ণের কথা চিন্তা করবেন তখন দেখবেন যে বিটকয়েনও উপযুক্ত মাধ্যম। আভাস মিলেছে, মার্কিন নতুন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে ইতিবাচক কাঠামো তৈরি করবে।

বাংলাদেশে বিটকয়েন, লাইটকয়েন বা অন্য ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করলে তা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply