রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। এদিন সরকারি ছুটি থাকায় অনেকেই টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
এ কারণে ঈদের সময় রাজধানী যে রকম ফাঁকা হয়ে যায়, অনেকটা সেই চিত্রই এখন ঢাকা নগরের।
প্রচণ্ড কর্মব্যস্ত নগর ঢাকা এখন প্রায় ফাঁকা, রাজপথে মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে দু’একটা গণপরিবহন চললেও এগুলো প্রায় যাত্রীশূন্য।
তার ওপর আজ রাত ১১টা থেকে সারা দেশে সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাত ৮টার পরই গাড়ি বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন-বিগত নির্বাচনে তারা ১১টা পর্যন্ত যাত্রীসেবা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিলেন। যাত্রী নামিয়ে গ্যাস বা জ্বালানি তেল ভরতে গিয়ে ফিলিংস্টেশনেই গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে বাড়ি যেতে বাধ্য করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর পাশাপাশি শহরতলির গণপরিবহনেরও একই চিত্র। অফিস বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা চলাচলকারী বন্ধন, উৎসবও শীতল এবং সোনারগাঁও থেকে চলাচলকারী দোয়েল, স্বদেশ ও বোরাক পরিবহনেও একই চিত্র চোখে পড়েছে।
এ ব্যাপারে দোয়েল পরিবহনের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার যুগান্তরকে জানান, টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে মেঘনা শিল্পাঞ্চলের অনেকেই সপরিবারে বাড়ি চলে গেছে। তাই রাত ১১টা পর্যন্ত যান চলাচলে বাধা না থাকলেও যাত্রী সংকটে আগভাগেই বন্ধ করতে হতে পারে।
চিরচেনা ব্যস্ত রাজধানীতে সুনসান নীরবতা। শনিবার সকালে রাজধানীর ব্যস্ত এলাকা গুলিস্তান ও জিরো পয়েন্টেও তেমন কোনো গণপরিবহন চোখে পড়েনি। ছিল না কোনো যাত্রীর চাপও। অনেকে ভোট দিতে এবং ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।
বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করেই অনেকে বাড়ির পথে রওনা হন। রাস্তার ওপর রিকশার ঘণ্টার টুংটাং শব্দ, দু-চারটি বাস-গাড়ির শব্দে ছুটে চলা, অল্প কিছু লোকের হেঁটে চলা-এই ছিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের চিত্র।
Leave a reply