চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে টানা ছয় দিন ধরে অনশনে সেকায়েপ (সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতাধীন অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রোববার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
প্রথম দুদিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর মঙ্গলবার থেকে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন এসব শিক্ষক।
জানা গেছে, দারিদ্র্যপীড়িত ও দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া কমাতে ২০১৫ সালে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ দেয়া হয় পাঁচ হাজার ২০০ শিক্ষককে।
চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবেই আখ্যা দেয়া হয়েছিল এ শিক্ষকদের (এসিটি)।
প্রকল্প শেষে এসিটিদের এমপিও সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর তাদের স্থায়ীকরণের মৌখিক আশ্বাস মিললেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এসব শিক্ষক।
তারা বলছেন, সেকায়েপ প্রজেক্টের এসব অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল।
তাই এসব এসিটি শিক্ষকের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক।
কিন্তু মাসের পর মাস বিনা বেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকরা আজ ক্লান্ত। এখন তারা ক্লাস ছেড়ে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছেন।
বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ বলেছেন, আমাদের চাকরি স্থায়ী করার লিখিত নোটিশ পেলেই কেবল আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাব।
Leave a reply