পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বিমান হামলা চালিয়ে জঙ্গিদের আস্তানা ধ্বংসের দাবি করছে ভারত। মঙ্গলবার সকালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সরগরম ভারত-পাকিস্তানের গণমাধ্যম। নয়াদিল্লির দাবি, রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপাশে বিমান দিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব দাবি, বিমান হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস হয় জয়েশ ই মোহাম্মদ, লস্কর ই তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদীনের ৩টি আস্তানা। বিজয় গোখলে জানান, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২টি ‘Mirage-2000’ যুদ্ধবিমান অংশ নেয় অভিযানে। আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টায় জঙ্গি আস্তানাগুলো লক্ষ্য করে ফেলা হয় এক হাজার কেজি বিস্ফোরক। যাতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ঘাঁটি।
বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী বলেন, বিমান হামলায় আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়নি। আত্মরক্ষার জন্যেই পাকিস্তান ভূখণ্ডে চালানো হয়েছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। জাতিসংঘ নীতিমালায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে- কোন বর্হিশত্রু যদি আক্রমণ করে; তাহলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া প্রত্যেক দেশের অধিকার।
এদিকে, পাকিস্তান সেনা কর্তৃপক্ষ বলছে, মুজাফফারাবাদ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান। টের পাওয়ার সাথে সাথেই মিসাইল ছুড়ে জবাব দেয়া হয়। বালাকোট এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পরলেও, কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। ভারতীয় বিশ্লেষক প্রফুল্ল বকশির মতে, শুধু বাগযুদ্ধে না জড়িয়ে সত্যিকার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের প্রয়োজন ছিলো। ভারতীয় বিমান বাহিনী সফলতার সাথে শেষ করেছে অভিযান। এবার, পাকিস্তানও এই তথ্য স্বীকার করে নিয়েছে। দেশটি পাল্টা জবাব দেয় কি দেয় না সেটা তাদের ব্যপার। কিন্তু, আবারও প্রমাণ হলো- ভারত যুদ্ধে ভয় পায় না।
১৪ ফেব্রুয়ারি, জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৪ সদস্য নিহত হবার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যেকার উত্তেজনার পারদ চড়েছে।
Leave a reply