ব্ল্যাক ফ্রাইডে থেকেই মূলত বড়দিনের কেনাকাটা শুরু হয়। থ্যাঙ্কসগিভিং এর পরের শুক্রবার পশ্চিমা দেশগুলোতে বিপণী কেন্দ্রগুলোতে থাকে বিশেষ মূল্যছাড় আর পুরস্কারের ব্যবস্থা। তাই পছন্দের জিনিসটি কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে অনেক জায়গায়। কেনাকাটার সময় হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে আহতও হয় অনেকে। তবে এমন ভিড়ের পরও বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি অনলাইনের কারণে কমেছে ব্ল্যাক ফ্রাইডের উম্মাদনা। এদিন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা ব্যবসায়ীদের। ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের আভাস ক্রিসমাস মৌসুমেই প্রায় ৭শ’ বিলিয়ন ডলারের কেনাকাটা হবে যুক্তরাষ্ট্রে। যা গেলো বারের তুলনায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। একজন ক্রেতা মেলভিন হার্নান্দেজ বলেন, গেলো ৮ বছর ধরে ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে পরিবারের জন্য সেরা পণ্যটি কিনেছি। প্রতিবছর এই দিনটির জন্যেই অপেক্ষায় থাকে আমার মতো মধ্যবিত্তরা। দু’দিন থেকে এখানেই খাচ্ছি-ঘুমাচ্ছি। কারণ বেস্ট বাই ৫০ ইঞ্চির স্মার্ট টিভি ছাড়ছে মাত্র ১৮০ ডলারে। বাজারে যার আসল মূল্য ৫০০ ডলার। এক্সবক্স তো পানির দামে ছাড়বে।
অন্যদিকে কনজ্যুমার রিসার্চের পরিচালক জারোনে মারটিস বলেন, ব্ল্যাক ফ্রাইডে সপ্তাহেই খুচরো ব্যবসায়ীদের সর্বাধিক লাভ হয়। কারণ এখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিসমাসের কেনাকাটার শুরু। তবে অনলাইন ভিত্তিক শপিং সাইট- আমাজনের প্রতিই এখন ক্রেতারা বেশি আগ্রহী। তাদের সেখান থেকে ফেরাতে এবছর ওয়ালমার্ট অভাবনীয় মূল্যছাড় দিয়েছে। ক্রেতা ধরে রাখতে সমানে-সমান টক্কর দিচ্ছে দুটি প্রতিষ্ঠান।
Leave a reply