বর্ষা মৌসুমে দেশের কোথাও ট্রেনে বেড়াতে যাবেন? সঙ্গে তাহলে একটি ছাতা রাখতেই হবে। যদি একান্ত ছাতা জোগাড়ের সুযোগ না হয়, তাহলে মধ্যম আকারের একটি বালতিও রাখা যেতে পারে! ট্রেনে বসার পর বালতি কিম্বা ছাতাটি সিটের পাশেই রাখুন। বৃষ্টি আসার সাথে সাথে ছাতা হলে মেলে ধরুন মাথার ওপর। আর বালতি হলে কোলের ওপর রাখতে পারেন! ট্রেনের ছাদ গলে যে বৃষ্টির পানিটুকু পড়বে সেটি বালতিতে জমা হলে আপনার কাপড়-চোপড়/গা ভিজে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে না!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন- ট্রেনের ভেতরে বৃষ্টি থেকে বাঁচতেই ছাতা বা বালতির প্রয়োজন পড়তে পারে আপনার!
ফেসবুকে ‘রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপ’ নামে বেশ কয়েকটি গ্রুপ আছে। এগুলোর মধ্যে Bangladesh Railway Fan Group নামে আছে দুটি গ্রুপ। ট্রেনে নিয়মিত দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন এমন মানুষরা গ্রুপগুলোর সদস্য। ভ্রমণপথে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হওয়া নানান ঘটনা-দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা, ছবি, ভিডিও সেখানে শেয়ার করেন সদস্যরা।
গতকাল রোববার এবং আজ সোমবার দুটি গ্রুপে দুটি পোস্ট করেছেন দুই সদস্য। এক পোস্টে দুটি ছবি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, এটি গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ছবি। দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি তার শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের সিটে বসে আছেন। হাতে মাথার ওপর ধরে আছেন একটি ছাতা! তাদের পেছনে দেখা যাচ্ছে আরেক যাত্রীও বসে আছেন একইভাবে ছাতা মাথায়!
গ্রুপের ওই সদস্যে নিজস্ব বানানে তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো–
“#চট্টগ্রাম_ঢাকা_রুটে_চলাচলকারী_সুবর্ণ_এক্সপ্রেস_এর_ছবি।
#প্রথম_শ্রেণির_টিকেটের টাকা দিয়ে প্রথম শ্রেণীর সার্ভিস পেল ওই ট্রেন এ থাকা মানুষগুলো।
#স্মরণকালের দুর্বিষহ ট্রেন ভ্রমন;
এই হলো আন্তনগর সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি স্নিগ্ধা। ৭২৫ টাকার টিকেটে ৯৫ টাকা ভ্যাট দিয়েও ঢাকা – চট্টগ্রাম সাড়ে পাঁচ ঘন্টার জার্নিতে মাথার উপর ছাতা ধরে বসে থাকা এটা কোন হিসাব? রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন কি চোখে আঙুল দিয়ে ঘুমান? নৌপথে যাত্রায় লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ট্রেনে চড়ার সময় রেইনকোট বাধ্যতামূলক করুন প্লিজ। তাতে অন্তত আমরা আমজনতা সচেতন হবো। নিজেদের রেইনকোট নিজেরা নিয়েই এসি কামরায় উঠবো।”
অন্য একটি গ্রুপে আরেক সদস্য আজ সোমবার পোস্ট করেছেন দুটি ভিডিও ও কয়েকটি ছবি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের ছাদ থেকে সরাসরি মেঝেতে পানি পড়ছে বৃষ্টির মতো। সেই পানি যাতে আশপাশের সিটগুলোকে ভিজিয়ে না দেয় সেজন্য একজন বাল যাত্রী সিটে ওপর একটি প্লাস্টিকের বালতি ধরে আছেন।
রায়হান আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি তার পোস্টে লিখেছেন, “আগে ফেসবুকে দেখতাম আজ নিজেই বাস্তবে দেখলাম। আজ এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেন দিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলাম। বৃষ্টি হচ্ছিল তবে বাহিরে বৃষ্টি থেকে অনেক (বেশি) বৃষ্টি পড়ছে ট্রেনের ভিতরে। ছাতা নিয়ে বসতে হচ্ছে। আমরা কিশোরগঞ্জ এবং ভৈরবের মানুষ কত অবহেলিত।” রায়হান আহমেদ ছবি ও পোস্টের ক্রেডিট হিসেবে মোহাম্মদ নাদিম নামে একজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
Leave a reply