রাজধানীর কাকরাইলের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির পাশে ১৫ তলা একটি ভবনের দশম তলার বারান্দার কার্নিশে ঝুলে ছিল এক কিশোরী। ভবনটি অধিক উঁচু হওয়ায় প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করতে পারেনি পথচারীরা।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সেখানে উৎসুক জনতার জটলা বাঁধে। খবর পেয়ে আসে পুলিশও। ততক্ষণে বারান্দার গ্রিলের জানালা খুলে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন ওই নারী।
তবে ঘটনাটি কি ছিল যার জন্য এই কিশোরী কার্নিশে ঝুঁকি নিয়ে ঝুলেছিল! পুলিশ জানায়, খাদিজা (১৪) নামের এই কিশোরী দশ তলায় বি-১০ ফ্ল্যাটে হাবিবুর রহমান ও লাভলী রহমানের গৃহকর্মী। অন্য এক গৃহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়া করে সে বারান্দার গ্রিলের ফোকর দিয়ে পালাতে চেয়েছিল। তবে গৃহকর্ত্রী লাভলী রহমান তাকে উদ্ধার করেন।
লাভলী রহমান পুলিশকে জানিয়েছেন, খাদিজা ও হেলেনা নামে তার দুই গৃহকর্মী রয়েছে। দুজনের মধ্যে ঝগড়ার পর খাদিজা পালাতে চেয়েছিল। তাকে উদ্ধারের পর তিনি স্বজনদের খবর দিয়েছেন।
খাদিজা এক বছর ধরে তার বাসায় ছিল। তার বাড়ি সিলেটে।
তবে ওই কিশোরীর ঝুলে থাকা ছবিতে দেখা গেছে, বারান্দার ভেতর থেকে এক নারী তার দিকে তাকিয়ে কিছু বলছিলেন। তবে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। এছাড়া মেয়েটি ঝূঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে আছে কেন? নিচে থেকে তা ঠিক বোঝাও যায়নি।
তবে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্ত্রী মেয়েটিকে পুলিশের সামনেই গালাগাল করছিল। সোফায় বসিয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করলেও গৃহকর্ত্রী তাকে সোফায় বসতে দেয়নি। গৃহকর্ত্রী নিজেকে মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দেন।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, গৃহকর্ত্রী মেয়েটিকে কোনো মারধর করেছে কিনা তা জানতে চাইলে ওই কিশোরী তা অস্বীকার করে। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
Leave a reply