পারিবারিক সূত্র ধরে অভিবাসন পদ্ধতি বাতিলের কথা বলে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ম্যানহাটন হামলার পর তা আরও জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, চেইন ইমিগ্রেশন নয়, বরং মেধার ভিত্তিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেবে ওয়াশিংটন।
ম্যানহাটন হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তি একজন অভিবাসী হওয়ায় এ বিষয়ক আইন কড়াকড়ি করার আভাস দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘটনার পরপরই এক লিখিত বিবৃতিতে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন অভিবাসন আইন আরও কড়াকড়ি করতে উদ্যোগ নেবে কংগ্রেস। অভিবাসীরা যেনো কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে আরও কঠোর হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন হোয়াইট হাউস মুখপাত্র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স। বলেন, পারিবারিক সম্পর্কের সূত্র ধরে নয় বরং মেধার ভিত্তিতে হতে হবে মার্কিন অভিবাসন নীতিমালা। তিনি বলেন, “নিউইয়র্কে হামলাকারী আকায়েদ উল্লাহ যে ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে, তা সাধারণত মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তির, ভাই-বোনের সন্তানরা পেয়ে থাকেন। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই এ পদ্ধতির বিরোধী। তার নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে, আটকানো যেতো চরমপন্থিদের প্রবেশ। এ কারণেই, গোটা অভিবাসন নীতিমালা সংস্কারের পক্ষে প্রেসিডেন্ট।”
হোয়াইট হাউসের এ বক্তব্যে সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও। তারা বলছেন, বিদ্যমান অভিবাসন নীতির ব্যর্থতারই ফলাফল এসব হামলা। এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স বলেন, “দু’মাসের কম সময়ে অভিবাসীদের হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সামগ্রিক নীতিমালার ব্যর্থতারই ফল। যাদের মার্কিন স্বার্থ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই তাদের অভিবাসনের অনুমতি দেয়ার তীব্র বিরোধিতা করছি।”
বছরে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসীকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র- গ্রিন কার্ড দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গেলো আগস্টে অভিবাসন নীতিতে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে এ সংখ্যা ৫ লাখে নামানোর ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার পর আরও জোরালো হবে ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপ- এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a reply