ইরাক ও সিরিয়ায় নতুন অভিযান চালালো যুক্তরাষ্ট্র। মূল লক্ষ্য ছিলো- সশস্ত্র সংগঠন ‘কাতায়েব হিজবুল্লাহ’র ঘাঁটি। রোববার, ট্রাম্প প্রশাসন জানায়- তাতে প্রাণ হারিয়েছেন সন্দেহভাজন ২৫ জঙ্গি; আহত অর্ধ-শতাধিক মানুষ। এ অভিযানকে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর বড় ধরণের আঘাত হিসেবে দেখছে ইরাক।
রাতের আঁধারেই সিরিয়া-ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আকস্মিক অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। লক্ষ্য আল-কাইম এলাকায় সক্রিয় ইরান সমর্থনপুষ্ট শিয়া সশস্ত্র সংগঠন ‘কাতায়েব হিজবুল্লাহ। টানা ৭২ ঘণ্টার পাল্টাপাল্টি সংঘাতে ধ্বংস করা হয় কমপক্ষে ৫টি গোপন আস্তানা। প্রাণহানিও ১০০’র কাছাকাছি দাবি পেন্টাগনের।
গেলো সপ্তাহেই, রকেট হামলায় অঞ্চলটিতে কর্মরত মার্কিন এক ঠিকাদারের মৃত্যুর পর নিরাপত্তা কঠোর করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই এলো অভিযানের সফলতার খবর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, গেলো ৭২ ঘণ্টায় মধ্যপ্রাচ্যে চালানো হয়েছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান। কারণ, গোপন ঘাঁটিগুলো মার্কিন সামরিক বহরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। জঙ্গি আস্তানায় এটাই প্রথম অভিযান নয়। তবে, তেহরানের সৃষ্ট ঝুঁকির বিরুদ্ধে এটা ওয়াশিংটনের জোরালো বার্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, আত্মরক্ষায় ইরাক ভূখণ্ডে ‘কাতায়েব হিজবুল্লাহ’র ৫টি গোপন আস্তানায় ‘এফ- ফিফটিন স্ট্রাইক ঈগলে’র মাধ্যমে চালানো হয়েছে অভিযান। এটি ইরানের মদদপুষ্ট একটি শিয়া সশস্ত্র সংগঠন। পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাকের ৩টি এবং পূর্বাঞ্চলীয় সিরিয়ার ২টি অস্ত্রাগার ছিলো আমাদের লক্ষ্য। অভিযানটি পুরোপুরি সফল।
বেশ কিছুদিন ধরেই, ইরান-আমেরিকার সাথে বাণিজ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছে ইরাক। তাই, এ অভিযানকে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
ইরাকি সেনাবাহিনীর সেভেনথ্ ইনফেন্ট্রি ডিভিশনের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল হাসান জাওয়াদ খাদিম বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে নিমূর্লে আমরা সবসময় তৎপর। এমনকি, সীমান্তেও কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। এরমধ্যে, পূর্ব-ঘোষণা ছাড়া এধরণের অভিযান ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন। দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণ।
কারা এই কাতায়েব হিজবুল্লাহ? বলা হচ্ছে, ২০০৩ সাল থেকে সক্রিয় দলটির অর্থ-অস্ত্রের যোগানদাতা প্রতিবেশী তেহরান। কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসও ইরানি নাগরিক। সিরিয়া-ইরাকে আইএস নির্মূল অভিযান এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের কারণেই পরিচিত সংগঠনটি।
Leave a reply