করোনাভাইরাস: বড় ধরনের ধাক্কার মুখে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি

|

FILE - This July 16, 2013, file photo, shows a Wall Street street sign outside the New York Stock Exchange. Stocks are opening slightly higher on Wall Street, Monday, May 1, 2017, led by gains in technology companies and banks. (AP Photo/Mark Lennihan, File)

করোনাভাইরাসের প্রভাবে, বড় ধরনের ধাক্কার মুখে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। একে একে দরপতন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার পুঁজিবাজারে। ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় দরপতনের শিকার মার্কিন পুঁজিবাজার। কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বিশ্লেষকরা বলছেন রাতারাতি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সুযোগ নেই।

গেল একযুগে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির কবলে আছে মার্কিন পুঁজিবাজার। সোমবার দিনের শুরুতেই প্রায় ৭ শতাংশ দরপতন। ২০০৮ সালের পর যা সবচেয়ে বেশি। এর পরপরই বন্ধ করা হয় সব কার্যক্রম।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স অ্যাজার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। এটা সত্যি যে করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা ধাক্কার মুখে পড়েছে পুঁজিবাজার, তবে সেটা সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কিছু নয়। এটা আমরা দ্রুতই সামলে উঠতে পারবো।

এদিকে, করোনাভাইরাসের ধাক্কা ইউরোপের পুঁজিবারেও। অঞ্চলটির পুঁজিবাজারে পতন হয়েছে প্রায় ৮.৫ শতাংশ। এরমধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালিতে আক্রান্ত রোগী ও বাণিজ্যের ধাক্কা দুইই বেশি। শুধু আমদানি-রফতানি হ্রাস পাওয়াই নয়, বন্ধ আছে সবধরণের পর্যটন কেন্দ্র।

জার্মানির অর্থনৈতিক বিশ্লেষক টরস্টেম ডেনিন বলেন, এই পরিস্থিতি আসলে হঠাত করেই হয়নি। ধীরে ধীরে অবস্থা খারাপ হচ্ছিলো পুঁজিবাজারের। কারণ গেল ২ সপ্তাহ ধরেই চীনের সাথে লেনদেন কমে আসছিলো অন্যান্য দেশগুলোর। কিন্তু গেল সাতদিনে ইউরোপে করোনার প্রকোপ বাড়ায় বড় ধাক্কা এলো অর্থনীতিতেও।

পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত এশিয়ার দেশগুলোতেও। করোনার পাশাপাশি রুশ-সৌদি উত্তেজনা অস্থিরতা বাড়িয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারেও। ব্যারেল প্রতি তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

বছরে প্রায় ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার পন্য রফতানি করে শীর্ষ অবস্থানে চীন। করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির রফতানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি, শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। যা থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণের সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply