করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের কারাগার গুলোতে জরুরী নির্দেশনা জারি করেছে কারা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয় কারা অধিদপ্তর। কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো: আবরার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এসব নির্দেশনা জানানো হয়।
বার্তায় দেয়া নির্দেশনা গুলো হলো- প্রত্যেক কারাগারের মূল ফটকে সাবান/হ্যান্ড ওয়াশ/হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত রাখতে হবে। কারারক্ষীগণ ও আদালত থেকে আগত ও নতুন আগত বন্দিগণ প্রত্যেক অন্তত ২০ সেকেন্ড ভালোভাবে হাত ধৌত করে কারাগারে প্রবেশ করতে হবে। একইসাথে করোনাভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণ আছে এমন দর্শনার্থীরা যেন কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে তা সৌজন্যতার সাথে নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কারাফটকে শরীরের তাপমাত্রা মাপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে
বলা হয়েছে সেইসাথে কারাঅভ্যন্তরে আসার পূর্বে বন্দি ও কারারক্ষীসহ সকলের দেহের সুস্থতা নিশ্চিত করে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করতে বলা হয়ছে। এইসময় কারো সুস্থতার ব্যপারে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া ও প্রয়োজনবোধে জাতীয় হটলাইনে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কারাগারে আগত নতুন বন্দিদের ব্যপারে বলা হয়েছে, তাদের অন্ততঃ ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য ১টি আমদানি ওয়ার্ড এবং সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার পূর্বে আরও ১টি বাফার/অন্তবর্তীকালীন আমদানী ওয়ার্ড এর ব্যবস্থা করতে হবে, যেখানে আরো ১৪দিন অবস্থানের পরই বন্দিদের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা যাবে। একইসময় এইসব ওয়ার্ডে থাকা বন্দিদের সংস্পর্শে আসা থেকে অন্যান্য বন্দি ও কারারক্ষী যথাসম্ভব বিরত থাকবে।
কারাফটক, সাক্ষাত কক্ষ, দর্শনার্থীদের অপেক্ষাগার ও ডিউটি বন্টন রুমের সম্মুখে দর্শনযোগ্য স্থানে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ সংক্রান্ত জাতীয় হটলাইন নম্বরসমূহ প্রদর্শন করতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলকোড পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করতঃ হাজতি বন্দিদের প্রতি ১৫ দিন অন্তর ও কয়েদি বন্দিদের প্রতি ৩০ দিন অন্তর সাক্ষাৎ নিশ্চিত করতে হবে। এবং কোনক্রমেই এর চেয়ে কম বিরতিতে দেখা-সাক্ষাত করা যাবেনা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- প্রত্যেক বন্দির সাথে সর্বোচ্চ ২জন সাক্ষাতপ্রার্থী দেখা করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেল সুপার ও জেলার নিবিড় তদারকির মাধ্যমে উল্লিখিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করবেন, মাসিক রিটার্নে এ নিশ্চিতকরণের প্রত্যয়ন প্রদান করবেন এবং কোনরকম ব্যত্যয় হলে তারা ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী থাকবেন বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বন্দিদের খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি এর দৈনিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয় সেখানে। সেইসাথে কারাগারের রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত ও যে কোন খাদ্য যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেদ্ধ হয় সেদিবে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোন বন্দির জামিননামা আসলে তাকে জামিন ছাড়ার পূর্বে স্থানীয় সিভিল সার্জনকে অবগত করতঃ তার দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করে তারপরই বন্দিকে জামিন ছাড়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেইসাথে এইরকম বন্দির তথ্যও কারা উপমহাপরিদর্শককে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে, কারা আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত কোন কর্মচারী বা তাদের পরিবারবর্গের মধ্যেও রোগের লক্ষণ দেখা গেছে কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেখানে।
Leave a reply