ফরিদপুরে করোনার প্রভাবে বিপাকে দরিদ্র জনগোষ্টি

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাসের প্রভাবে ফরিদপুর জেলাজুড়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমিক, দিন মজুরেরা। গত তিন দিন জেলার সদর থেকে শুরু করে উপজেলার সদরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জনসাধারণের চলাচল বন্ধই বলা চলে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঘোষণার পর থেকে এমন অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জনতা ব্যাংক মোড়, প্রেসক্লাব চত্বর, আলীপুর মোড়, থানা মোড়, ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে ব্যস্ততম এই এলাকাগুলো একেবারের ফাঁকা রয়েছে।

এসময় কথা হয় কয়েকজন দিন মজুদের সঙ্গে। পাবনা থেকে আসা দিন মজুর হাফিজ জানান, আমার মতো অনেকেই এই শহরের কামলা দিতে এসেছে। কিন্তু ২/৩ দিন হলো কোনো কাজ নেই। বাড়িও যেতে পারছি না। খাবার হোটেলও বন্ধ।

জেলা সদরের কানাইপুর থেকে বাইসাইকেলে শহরে আসা কাঠ মিস্ত্রি ইব্রাহিম জানান, কাজের জন্য এসেছি। শহরের কোনো লোক নেই। কিভাবে কাজ পাবো। এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবোনা।

ইব্রাহিম বলেন, সরকার কিংবা বৃত্তবানরা আমাদের পাশে এগিয়ে না এলে দরিদ্র মানুষ গুলো খাদ্যের অভাবে পড়বে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী জাকির জানান, কয়েকটা দোকান খোলা, জিনিস পত্রের অনেক দাম। শবজি, তরকারির দাম কয়েক গুণ। আমাদের মত স্বল্প আয়ের মানুষের বাঁচাই কষ্ট।

এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে এই দুযোর্গের সমেয় অতিদরিদ্রদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি। পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, রোভার স্কাউট নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। কারো খাবারের অভাব থাকলে তাকে আসতে হবে না, হতদরিদ্রদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। দুই এক দিনের মধ্যেই তাদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদান শুরু করবো।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এপর্যন্ত বিদেশ ফেরত ১৪৭৬জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply